পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ම්ඝ ३छ् এক নিমেষে সেখান থেকে অন্তৰ্ধান হত, কিন্তু সেই যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের আত্মা বিরাজ করত। জান ত, আত্মার ধর্মই এই যে তা যেখানে আছে সেখানে সর্বত্রই আছে, কিন্তু কোথায়ও তাকে ধরে-ছুয়ে পাবার যে নেই। রাম-শ্যামের এই বাল্যলীলা থেকে বােধ হয় তুমি অনুমান করতে পেরেছ যে, এরা দু’ভাই কলিযুগের যুগধর্মের-অর্থাৎ পলিটিক্সেরযুগল অবতার স্বরূপে এই ভূ-ভারতে অবতীর্ণ হয়েছিল। डीिश अक्ष রাম-শ্যাম ষোল বৎসরও অতিক্রম করলেন, সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাও উত্তীর্ণ হলেন, অবশ্য সেকেণ্ড ডিভিসনে। এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। যেমন তেমন করে হোক, হাতের পাঁচ রাখতে তারা ছিলেন সিদ্ধহস্ত । এরপর তঁরা কলকাতায় পড়তে এলেন । এইখান থেকেই তঁদের আসল পলিটিক্সের শিক্ষা-নবিসি সুরু হল। কলেজে ভর্তি হবামাত্র নিজের প্রতি তঁদের ভক্তি যথোচিত বেড়ে গেল, এবং সেই সঙ্গে তঁাদের উচ্চ আশা সিমলাস্পাধী হয়ে উঠল। সহসা তাদের হুস হল যে, স্কুল কলেজের মোড়লী করা রূপ তুচ্ছ ব্যবসায়ের মজুরি তাদের মত শক্তিশালী লোকের পোষায় না। তাই তঁরা মনস্থির করলেন, তঁরা হবেন দেশ-নায়ক ; এবং পলিটিক্সের মহানাটকের অভিনয়ে যাতে সর্বাগ্রেগণ্য হতে পারেন, তার জন্য তঁরা প্ৰস্তুত হতে লাগলেন। মহানগরীর আবহাওয়া থেকে এ তথ্য তঁরা দু’দিনেই উদ্ধার করলেন যে, এ যুগে ধর্মবলও বল নয়, কর্মবলও বল নয়, একমাত্র বল হচ্ছে বুদ্ধিবল, ওরফে বাক্যবল। এ বল যে তঁদের শরীরে আছে, তার পরিচয় তঁরা স্কুলেই পেয়েছিলেন। স্বাক্ষরিত অভিনন্দনপত্র এবং বেনামী দরখাস্ত লিখে, জিভের জোরে একদিকে বড়দের কাছ থেকে