পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iझम९3श्? -ووح চতুর্থ অঙ্ক ইভলিউসান অবতারের কথা হচ্ছে—“সম্ভবামি যুগে যুগে।” মহাপুরুষদের লীলাও নিত্য-লীলা নয়। তঁরা অনাবশ্যক দেখা দেন না, যখন দরকাৰ বােঝেন তখনই আবার আবির্ভূত হন। স্বদেশী আন্দোলন চাপা পড়বার ঠিক দশ বৎসর পরে রাম শ্যাম রাজনীতির আসরে আবার সদৰ্পে অবতীর্ণ হলেন, কিন্তু সে এক নল মূর্তিতে, যুগল রূপে নয়—স্ব স্ব রূপে। তঁদের উভয়রেই চেহারা আর সাজগোজ ইতিমধ্যে এতটা বদলে গিয়েছিল যে, তঁদের দুজনকে যমজ ভ্ৰাতা ত অনেক দূরের কথা, পরস্পরের ভ্রাতা বলেই চেনা গেল না। রামের দেহটি হয়েছিল ঠিক ঢাকের মত, আর শ্যামের হয়েছিল তার কাঠির মত, এর কারণ রামের হয়েছিল বহুমূত্র আর শ্যামের শ্বাসরোগ । তাদের বেশভুষাও একদম বদলে গিয়েছিল। এবার দেখা গেল, রামের দাড়িগোফ দুই-ই কামান, মাথার চুল কয়েদীদের ফ্যাসানে চাটা, এবং পরণে ইংরেজী পোষাক ; হঠাৎ দেখতে পাকা বিলেতফেরত বলে ভুল হয়। অপর পক্ষে শ্যামের দেখা গেল, দাড়ি, গোঁফ, চুল সবই অতি প্রবৃদ্ধ, পরণে থানধূতি, গায়ে আঙরাখা, পায়ে তালতলার চটি, হঠাৎ দেখতে ঘোর থিয়জফিস্ট বলে ভুল হয়। এহেন রূপান্তরের কারণ, ইতিমধ্যে রাম হয়ে উঠেছিলেন একজন বড় উকিল আর শ্যাম হয়ে উঠেছিলেন একজন বড় এডিটার! এই বড় হবার চেষ্টার ফলেই তঁদের এতাদৃশ্য বদল হয়েছিল। রামের পশার যেমন বাড়তে লািগল, তিনি চালচলনে তেমনি সাহেবিয়ানার দিকে বুকতে লাগলেন, আর যত তিনি সেই দিকে বুকতে লাগলেন, তত তঁর পিশার বাড়তে লাগল। অপরপক্ষে শ্যামের কাগজের প্রসার যেমন বাড়তে লাগল, তেমনি তিনি হিন্দুয়ানীর দিকে বুকতে লাগলেন ;