পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-লোহিতের স্বয়ম্বর R) ) আমি জবাব দিলুম, “শাস্ত্রফাস্ত্র জানিওনে, মানিওনে। কারণ আমি যে হই সে হই আমি যে হই সে হই । জিনিয়াছি পণে মালা ছাড়িবার নই ৷ মোর মালা মোরে দেহ, মোর মালা মোরে দেহ, জাতি লয়ে থাক তুমি, আমি যাই গেহ৷” রাজাবাহাদুর আমার কথা শুনে থ হয়ে রইলেন। এর পর প্রমাণ পেলুম যে, পটলডাঙ্গার পণ্ডিতেরা ঘোর পণ্ডিত হতে পারেন, কিন্তু গড়ের মাঠের খেলোয়াড়রা ঘোর মুখ নয়। শাস্ত্ৰজ্ঞান উভয়েরই প্রায় তুল্যমূল্য, আর শাস্ত্রের পাঁচ কাটাতে জানে কর্মধাররা, আর জানে না জ্ঞানবীররা। রাজাবাহাদুর উভয়সঙ্কটে পড়েছেন দেখে খঞ্জন মিত্তির চেচিয়ে বললেন “অনুলোম ধিবাত শাস্ত্রসঙ্গত। সুতরাং এ বিবাহ দিলে আপনার পণও রক্ষা হবে, জাতও রক্ষা হবে।” রাজাবাহাদুর এই সুসংবাদ শুনে ঠাপ ছেড়ে বাঁচিলেন । ]). L. টি কিন্তু চাড়বার পাত্র নন। তিনি আইনের আর এক ফোঁকড়া তুললেন। তিনি বলিলেন--- “যদিঢ় ওরকম বিবাহ লোকাচারিবিকদ্ধ, তবুও তা শাস্ত্রসঙ্গত ঠাঁ, ৩ পারে, যদি ওঁর পূর্বববাহিত স্ত্রী ব্রাহ্মণী হন।", রাজাবাহাদুর অমনি আমার দিকে চাইলেন। আমি বললুম, “আজ্ঞে আমার প্রথম স্ত্রী ত আমি স্বয়ম্বর-সভা থেকে সংগ্ৰহ কবিনি। সে শুধু ব্ৰাহ্মণী নয়, উপরন্তু কুলীন-কন্যা, লক্ষৗপাশার মেয়ে, সুতরাং সপত্নীতে আর আপত্তি নেই।” মেষ্ট এ কথা বলা, অমনি মালস্ত্রী আমার হাত ছেড়ে বিদ্যুৎ বেগে বাপের কাছে ছুটে গিয়ে বললে— “এ বিবাহ আমি কিছুতেই করব না, প্রাণ গেলেও নয়। স্বামী fic, partnership business" আমি বললুম-“মালশী, আমি বিপদে পড়ে মিথো কথা বলেছি। - আমি যে কাৰ্ত্তিক চিলুম, সেই কাৰ্ত্তিকই আছি।” মালগ্ৰী উত্তর করলে—