পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अलूछे শ্ৰীমতী ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণী ফরাসী থেকে “অদৃষ্ট” নামধেয় গে গল্পটি অনুবাদ করেছেন, তার মোদী কথা এই যে, মানুষ পুরুষকারের বলে নিজের মন্দ করতে চাইলেও দৈবের কৃপায় তার ফল ভাল হয়। এ কিন্তু বিলেতী অদৃষ্ট। এদেশে মানুষ পুরুষকারের বলে নিজের ভাল করতে চাইলেও দৈবের গুণে তার ফল হয় মন্দ। এদেশী অদৃষ্টর একটি নমুনা দিচ্ছি। এ গল্পটি সত্য-অর্থাৎ গল্প যে পরিমাণ সত্য হয়ে থাকে, সেই পরিমাণ সত্য-তার চাইতে একটু বেশিও নয়, কমও নয়। ( ) ) এ ঘটনা ঘটেছিল পালবাবুদের বাড়ীতে। এই কলকাতা সহরে খেলারাম পালের গলিতে, খেলারাম পালের ভদ্রাসন কে না জানে ? অত লম্বা-চোঁড়া আর অতি মাথা-উচু করা বাড়ী যিনি চােখে কম দেখেন, র্তার চােখও এড়িয়ে যায় না। দূর থেকে দেখতে সেটিকে সংস্কৃত কলেজ বলে ভুল হয়। সেই সার সার দোতলা সমান উঁচু, করিন্থিয়ান থাম, সেই গড়ন, সেই মাপ, সেই রং, সেই ঢং। তবে কাছে এলে আর সন্দেহ থাকে না যে, এটি সরস্বতীর মন্দির নয়, লক্ষনীর আলয়। এর সুমুখে দীঘি নেই, আছে মাঠ, তাও আবার বড় নয়, ছোট; গোল নয়, চৌকোণ। এ ধাঁচের বাড়ী অবশ্য কলকাতা সহরে বড় রাস্তায় ও গলি-ঘূজিতে আরো দশ-বিশটা মেলে ; তবে খেলারামের বসতবাটীর সুমুখে যা আছে, তা কলকাতা সহরের অপর কোন বনেদী ঘরের ফটকের সামনে নেই। দুটি প্ৰকাণ্ড সিংহ তার সিংহদরজার দুধার আগলে বসে আছে। তার একটিকে যে আর সিংহ বলে চেনা যায় না, আর পথচলতি লোকে বলে বিলেতী শেয়াল, তার কারণ, বয়সের গুণে তার ইটের শরীর ভেঙ্গে পড়েছে, আর তার চুণবালির জটা খসে