পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRS १२छ् প্রাসাদের সভাপণ্ডিত স্বয়ং বেদান্তবাগীশ মহাশয় একদিন বলেছিলেন“মেজবাবুর দৌলতে মর্তে থেকেই স্বৰ্গ চােখে দেখলুম। এই পাষাণীরা যদি কারও স্পর্শে সব বেঁচে ওঠে, তাহলে এ পুরী সত্যসত্যই অমরপুর হয়ে ওঠে।” এ কথা শুনে মেজবাবুর জনৈক পেয়ারা মোসাহেব বলে ওঠেন—“তাহলে বাবুকে একদিনেই ফতুর হতে হত-শাড়ীর দাম দিতে।” এ উত্তরে চারিদিক থেকে হাসির তুফান উঠল। এমনকি, মনে হল যে, ঐ সব পাষাণমূর্তিদেরও মুখে চােখে যেন ঈষৎ সকৌতুক হাসির রেখা ফুটে উঠল। বলা বাহুল্য যে, এই কলকাতা সহরের উর্বশী, মেনকা, রাস্তা, ঘৃতাচীদের নাচে গানে প্রতি সন্ধ্যে এ নাচঘর সরগরম হয়ে উঠত। আর আজকের দিনে তার কি অবস্থা ?-বলছি। ( ७ ) এই নাচঘরের এখন আসবাবের ভিতর আছে একটি জরাজীর্ণ কাঠের অতিকায় লেখবার টেবিল আর খানকতক ভাঙ্গা চৌকি। মেঝেতে পাতা রয়েছে একখানি বাহাত্তর বৎসর বয়সের একদম রঙ-জ্বল৷ এবং নানাস্থানে ইদুরে-কাটা কারপেট ! এ ঘরে এখন ম্যানেজার সাহেব দিনে আপিস করেন, আর রাত্তিরে সেখানে নর্তন হয় ইদুরেরকীর্তন হয় ছুচাের। এই অবস্থা-বিপর্যয়ের কারণ জানতে হলে পালবংশের উত্থান-পতনের DDBDBDD DB uDS SS DD DBDBBD D DBBDBBD BBBBDBDSBL শোনাব। কেননা, তা যেমন মনোহারী, তেমনি শিক্ষাপ্রদ। এ কথার ভিতর সে কথা ঢোকাতে চাইনে এই জন্য যে, আমি জানি যে উপন্যাসের সঙ্গে ইতিহাসের খিচুড়ি পাকালে, ও দুয়ের রসই সমান কষা হয়ে ওঠে। ফল কথা এই যে, পালবাবুদের সম্পত্তি এখনও যথেষ্ট আছে; কিন্তু সরিকি বিবাদে তা উচ্ছন্ন যাবার পথে এসে দাঁড়িয়েছে। সেই ভাঙ্গ ঘর আবার গড়ে তোলবার ভার আপাতত এখন কমনম্যানেজারের হাতে পড়েছে। এই ভদ্রলোকের আসল নাম-শ্ৰীযুক্ত ভূপেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কিন্তু লোকসমাজে তিনি চাটুয্যে-সাহেব বলেই