পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अट्टे R\v) নেকনজরে দেখেন না, কেননা আমি চাের নই, অতএব খোসামুদেও নই। বরাবর দেখে আসছি যে, পৃথিবীতে গুণের আদর কেউ করে না, সবই খােসামােদের বশ। কিন্তু আমাদের এই নূতন ম্যানেজারের তুল্য খোসামোদ-প্ৰিয় লোক আমি ত আর কখনো দেখিনি। একমাত্র খোসামোদের জোরে যত বেটা চোর তাঁর প্রিয়পাত্র হয়েছে। যাদের হাতে তিনি পাকাকলা হয়েছেন, তাদের মুখে হুজুরের সুখ্যাতি আর ধরে না। অমন রূপ, অমন বুদ্ধি, অমন বিদ্যে, অমন মেজাজ একাধারে আর কোথাও নাকি পাওয়া যায় না। এ সব শুনে তিনিও মহাখুসি। প্ৰিয়পাত্রেরা কাগজ সুমুখে ধরলেই অমনি তাতে চোখ বুজে সই মেরে বসেন। এর হাতে স্টেটুটা আর কিছু দিন থাকলে নিৰ্ঘাত গোল্লায় যাবে। জমিদারীর ম্যানেজারি করার অর্থ ইনি বোঝেন, গম্ভীর হয়ে কাঠের চৌকিতে কাঠের পুতুলের মত খাড়া হয়ে এগারটা-পাঁচটা ঠায় বসে থাকা। ইনি ভাবেন, ওতে র্তাকে রাশভারি দেখায়, কিন্তু আসলে কি রকম দেখায় জান ?-ঠিক একটি সাক্ষীগোপালের মত। ইনি আপিসে ঢুকেই একটি কড়া হুকুম প্রচার করেছেন যে, কর্মচারীদের সধ এগারটায় হাজির হতে হবে। আর পাঁচটায় ছুটি। আমি অবশ্য এ হুকুম মানিনে। কেননা, যারা কাজের হিসেব জানেন, তারাই ঘণ্টার হিসেব করে সেই পুরুতদের মত যারা মন্ত্র পড়তে জানে না, কিন্তু ঘণ্টা নাড়তে জানে। খোসমুদেরা বলে, “হুজুরের কাজের কায়দা একদম সাহেদি'। ঈনি এতেই খুসি, কেননা এর মগজে সে বুদ্ধি নেই, যা থাকলে বুঝতেন। যে লেফাফা-দুরস্ত হলে যদি কাজের লোক হওয়া যেত, তাহলে পোষাক পরলেও সাহেব হওয়া যেত। এর বিশ্বাস ইনি সাহেল, কিন্তু আসলে কি জান ? মেমসাহেব। অন্ততঃ দূর থেকে দেখলে ত তাই মনে হয়। কেন জানাে ?-এর পুরুষের চেহারাষ্ট নয়। এর রংটা ফ্যাকাসে- সাবান মেখে, আর মুখে দাড়ি-গোঁফের লেশমাত্র নেই, কিন্তু আছে একমাথা চুল, তাও আবার কাঁটা। সে যাই হােক, একটু বিপদে পড়ে এই মেমসাহেবের মেমসাহেবকে একখানি চিঠি লিখতে বাধ্য হয়েছি। আজ দুদিন থেকে কানায়ুষোয় শুনছি যে, হুজুর নাকি আমাকে \වස