পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদক ও বন্ধু --দেখ সুরিনাথ, তোমার কাগজের এ সংখ্যাটি তেমন সুপিন্ধে रुग्न मि । --কেন বল দেখি ? --নিজেই ভেবে দেখো, তা হলেই বুঝতে পারবে। যখন সম্পাদক করছ, তখন কোন লেখাটা ভাল, আর কোনটা ভাল নয় তা নিশ্চয় বুঝতে পাের। ——অবশ্য লেখা বেছে নিতে না জানােল, সম্পাদকী করি কোন সাহসে ? এ সংখ্যায় কি আছে বলছি। শাস্ত্রী মহাশয়ের “কালিদাস, মুণ্ড না জটিল”, পি. সি. রায়ের “খদ্দর-রসায়ন”, বিনয় সরকারের ‘নয়া টঙ্কা”, সুনীতি চাটুয্যের “হারােপপার ভাষাতত্ত্ব”, রাখাল বাঁড়িয্যের “বঙ্গদেশের প্রাকু-ভৌগোলিক ইতিহাস’, বীরবলের ‘অগ্নিচিন্তা”, শরৎ চাটুয্যের “বেদের মেয়ে”, প্রমথ চৌধুরীর ‘উত্তর দক্ষিণ”, ধূর্জটাপ্ৰসাদ মুখোপাধ্যায়ের “সঙ্গীতের X-Ray”, অতুলচন্দ্র গুপ্তের “ইসলামের রসপিপাস”-এ-সব লেখার কোনটিরই কি মূল্য নষ্ট ! —আমি ও সব দৰ্শন-বিজ্ঞান, হিস্টরিজিওগ্ৰাফী, ধর্ম ও আর্ট প্রভৃতি বিষয়ের পণ্ডিতি প্ৰবন্ধের কথা বলছি নে। আর ‘বেদেব মেয়ের” সঙ্গে ত আমি ভালবাসায় পড়ে গিয়েছি। আর বীরবলের “অন্ন-চিন্তা” পড়ে আমার চোখে জল এসেছিল। —তবে কোনটিতে তোমার আপত্তি ? -এবার কাগজে যে কবিতাটি বেরিয়েছে সেটি কি ? -“পিয়া ও পাপিয়ার”র কথা বলছ ? ও কবিতার ত্রিপদী কি চতুষ্পদী হয়ে গিয়েছে ? ওতে কবিতার মাল-মসলা কি নেই ? -সবই আছে, নেই শুধু মস্তিষ্ক । --মস্তিষ্ক না থাক, হৃদয় তা আছে ? —হদায়ের মানে যদি হয় “ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো”, তা হলে