পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रन्थंश्* بیا9خ অবশ্য ও ছাইয়ের সে আধার আছে। ও-কবিতার পিয়া-পাপিয়ার কথোপকথন কার সাধ্য বোঝে, বিশেষত যখন ওর ভিতর পিয়াও নেই, পাপিয়াও নেই। -ও-দুটির কোনটির থাকবার ত কোনও কথা নেই। কবির আজও বিয়ে হয়নি।--তা তার পিয়া আসবে কোথা থেকে ? আর ছেলেটি অতি সচ্চরিত্র—তাই কোনও অবিবাহিত পিয়া তার কল্পনার ভিতরই নেই। আর সে জ্ঞান হয়ে অবধি বাস করছে। হ্যারিসন রোডে, দিবারাত্ৰ শুনে আসছে শুধু ট্রামের ঘড়ঘড়ানি-পাপিয়ার ডাক সে জন্মে শোনেনি। ও-পাড়ার কৃষ্ণদাস পালের ও দ্বারবঙ্গের মহারাজার প্রস্তরমূর্তি ত আর পাপিয়ার তান ছাড়ে না! —দেখ, এসব রসিকতা ছেড়ে দাও । যেমন কবিতার নাম, তেমনি কবির নাম। উক্ত মূৰ্তিযুগলও এ দুটি নাম একসঙ্গে শুনলে হেসে উঠত, যদিচ হাস্যরসিক বলে তাদের কোনও খ্যাতি নেই। -কবির নাম ত অতুলানন্দ। এ-নাম শুনে তোমার এত হাসি পাচ্ছে কেন ? -এই ভেবে যে, ও-রকম কবিতা সে-ই লিখতে পারে, যার অন্তরে আনন্দ অতুল। যার অন্তরে আনন্দের একটা মাত্রা আছে, সে আর ছাপার অক্ষরে ও-ভাবে পিউ পিউ করতে পারে না।-- - ও নামে তোমার আপত্তি ত শুধু ঐ ‘অ’ উপসর্গে ? -হঁ, তাই। —দেখ, ছোকরার বয়েস এখন আঠার বছর। যখন ওর অন্নপ্রাশন হয়, নন্‌কো-অপারেশনের বহু পূর্বে, তখন যদি ওর বাপ-ম ঐ উপসর্গটি ছোট দিয়ে ওর নাম রাখতেন “তুলানন্দ”-তা হলে দেশসুদ্ধ লোকও হেসে উঠত। এমন কি, যমুনালাল বাজাজও হাসি সম্বরণ করতে পারতেন না । --তোমার এ-কথা আমি মানি । কিন্তু আমি জানতে চাই, একবিতা তুমি ছাপলে কেন ? তুমি ত জান, ও রচনা সেই জাতের, যা না লিখলে কারও কোন ক্ষতি ছিল না ?