পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8ty *)piśඳී --অর্থাৎ যাকে কেউ লেখক বলে স্বীকার করে না, তার লেখার নমুনা দেবে ?—একেই বলে প্রত্যুদাহরণ! --ভালমন্দের প্রমাণ, জিনিসের ও মানুষের পরিমাণের উপর নির্ভর করে না। লোকে বলে, মাণিকের খানিকও ভাল। -এই বিলেতী অজ্ঞাতকুলশীল লেখকের হাত থেকে মাণিক বেরীয় ? --মাছের পেট থেকেও যে হীরের আংটি বেরয়, এ কথা কালিদাস भ5न् ! -এর উপর অবশ্য কথা নেই। এখন তোমার রত্ন বার কর । -লণ্ডনে একটি যুবক ছিল, সে নেহাৎ গরীব। কোথাও চাকরি না পেয়ে সে গল্প লিখতে বসে গেল। তার inspiration এল হৃদয় থেকে নয়-পেট থেকে। যখন তার প্রথম গল্পের বই প্ৰকাশিত হল, তখন সমস্ত সমালোচকরা বললে যে, এই নতুন লেখক আর কিছু না জানুক, স্ত্রী-চরিত্র জানে। সমালোচকদের মতে ভদ্রমহিলাদের সম্বন্ধে তার যে অন্তদৃষ্টি আছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। নিজের বইয়ের সমালোচনার পর সমালোচনা পড়ে লেখকটিরও মনে এই ধারণা বসে গেল যে, তার চোখে এমন ভগবদত্ত 'এক্স-রে’ আছে, যার আলো স্ত্রীজাতির অন্তরের অন্তর পর্যন্ত সোজা পৌছয়। তারপর তিনি নভেলের পর নভেলে স্ত্রী-হৃদয়ের রহস্য উদযাটিত করতে লাগলেন। ক্ৰমে তঁর নাম হয়ে গেল যে, তিনি স্ত্রী-হৃদয়ের একজন অদ্বিতীয় expert, আর ঐ ধরণের সমালোচনা পড়তে পড়তে পাঠকদের বিশ্বাস জন্মে গেল যে, লেখক তঁদের হৃদয়ের কথা সবই জানেন; তঁর দৃষ্টি এত তীক্ষ্ম যে, ঈষৎ ভ্ৰকুঞ্চন, ঈষৎ গ্ৰাবাভঙ্গীর মধ্যেও তিনি রমণীর প্রচ্ছন্ন হৃদয় দেখতে পান। মেয়ের যদি শোনে যে কেউ হাত দেখতে জানে, তাকে যেমন তারা স্থাত দেখাবার লোভ সংবরণ করতে পারে না।--তেমনিই বিলেতের সব বড় ঘরের মেয়েরা ঐ ভদ্রলোককে নিজেদের কেশের ও বেশের বিচিত্র রেখা ও রঙ সব দেখাবার লোভ সংবরণ করতে পারলে না। ফলে তিনি নিত্য ডিনারের নিমন্ত্রণ পেতে লাগলেন। কোন সম্প্রদায়ের