পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शंक्ष९ष्ट्र سووډ মানুষের ছেলের আবার কামিনীর অভাব ! আমি কিন্তু মশায় আর পাঁচজনের মত নই। টাকা থাকলেই বদখেয়ালী হতে হবে, এমন কোন কথা নেই। জীবনে এক ফোটা মদও খাইনি, একটান তামাকও টানিনি, আর অদ্যাবধি নিজের স্ত্রী ছাড়া অপর কোন স্ত্রীলোককে স্পর্শ করিনি। আমি পর পর তিনটি বিবাহ করি, তিনটিষ্ট १ऊँ शश(छ । আমার প্রথম বিবাহ নাবালক অবস্থাতেই হয়, একটি সমান ঘরের মেয়ের সঙ্গে। সে স্ত্রটি ছিল-যেমন বড় জমিদারের মেয়ে হয়ে থাকে। তার ছিল কুল, শীল, ভদ্রতা ; ছিল না। শুধু রূপ আর বুদ্ধি। ছেলেবেলা থেকে দুধ খেয়ে খেয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন একটি নীল গাই। কিন্তু সে গাই কখনও বিয়োয়নি, এই যা রক্ষে। দ্বিতীয়টি আমি নিজে দেখে বিয়ে করি। গেরস্তের মেয়ে। সে ছিল যেমন সুন্দরী, তেমনি বুদ্ধিমতী-যাকে কথায় বলে রূপে লক্ষী, গুণে সরস্বতী। জমিদারীর কাজকর্ম সব তার হাতে ছেড়ে দিয়ে, আমি শুধু শিকার করেই বেড়াতুম। অমন মেয়ে বোধ হয় বাঙ্গলাদেশে লাখে একটি পাওয়া যায় না। রূপে তাকে অনেকে হয় ত টেক্কা দিতে পারে, কিন্তু গুণে নয়। তাঁর মৃত্যুর পর আমি আবার বিয়ে করি—স্ত্রীবিয়োগের এক মাসের মধ্যে। এই তৃতীয় পক্ষই আমাকে এ বেশ ধরিয়েছে। এর থেকে মনে ভাববেন না যে, সে দেব্যা হয়ে আমার সম্পত্তি ভোগদখল করছে, আর আমি রাস্তায় রাস্তায় ‘এক সের আট আওর আধা সেরা ঘিউ মিলা দে ভগবান’ বলে সকাল-সন্ধ্যা চীৎকার করে বেড়াচ্ছি। ছেলেবেলায় একটি গান শুনেছিলুম মরি হায় হায়, শুনে হাসি পায়, 呼 কাল শশী যাবেন কাশী ভস্মরাশি মেখে গায়। শৰ্মাও কৌপীন-কমণ্ডলু ধারণ করে কাশী যাবার ছেলে নয়। আমার তৃতীয় পক্ষ দেশছাড়া হয়েছেন বলে আমিও দেশছাড়া হয়েছি।