পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ििभांद्र ᏒbᏅᏱ টাকার টান হতে লাগল, তাদের উপর অত্যাচার তত বাড়তে লাগল। ভৈরবনারায়ণের প্রজারা জুলুম আর সহ্য করতে না পেরে সব বিদ্রোহী হয়ে উঠল। তখন তিনি জমিদারী বন্ধক দিয়ে কেঁয়েদের কাছে ঋণ করতে সুরু করলেন। আর নিজে কাপ্তেন সেজে, লেঠেলদের দলপতি হয়ে লড়াই চালাতে লাগলেন। DBDBB BBDBDBD DBBDBB BBBDD S DD DBBBDB BDLDDD DDDS নারায়ণের বাড়ী আক্রমণ করলে। তখন বর্ষাকাল; সমস্ত দিন ছিপছিপ করে বৃষ্টি হচ্ছিল। ভৈরবনারায়ণ এ আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁর দলবল সব গিয়েছিল সর্বানন্দের মফঃস্বল-কাচারি লুঠতে। তিনি বেগতিক দেখে ঘোড়ায় চড়ে খিড়কির দুয়োর দিয়ে পালিয়ে গেলেন। সর্বানন্দের লেঠেলর বড় বাড়ীর দরজা-জানালী ভেঙে, বাড়ীতে ধনরত্ন যা ছিল সব লুঠে নিল। বাড়ীর একজন লোক পূজোর আঙ্গিনা দিয়ে পালাতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গেল। সর্বানন্দের হুকুমে তাকে ধরে হাড়কাঠে ফেলে বলি দেওয়া হল। লোকে বলে, এ বলি সর্বানন্দ নিজহাতেই দিয়েছিলেন, লোকটাকে ভৈরবনারায়ণ বলে ভুল করে। এ কথা আমি বিশ্বাস করি ; কারণ সর্বানন্দ সৌখীন হলেও, তার বুকে ছিল পুরুষের তাজা রক্তদু। যে ব্যাপার সুরু হয়েছিল স্ত্রীহত্যায়, তার শেষ হল” ব্ৰহ্মহত্যায়। এর পর ও-বংশ যে উচ্ছন্ন যাবে, তাতে আর আশ্চর্য কি ? স্বামীর অধৰ্ম ও স্ত্রীর ধর্ম-এ দুয়ের এই শাস্তি। ( & ) দিদিমার এ গল্প শুনেও নীলাম্বরের কৌতুহলের নিবৃত্তি হল না। সে জিজ্ঞাসা করলে,-“এর পর ভৈরবনারায়ণ কি করলেন ?” দিদিমা বললেন—“এর পর ভৈরবনারায়ণ আর দেশে ফেরেননি। লোকমুখে শুনেছি, তিনি কিছুদিন পরে এক ডাকাতের দলে ধরা পড়ে চিরজীবনের জন্য দায়মাল হয়েছেন-লাল খাঁ, কালো খাঁ, সরিৎউল্লা ফকির ও ময়নাল ৩৭