পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চার-ইয়ারী-কথা R Algernon, Rifitis Millicent | 43 Si Duke-ga as(a, আর একজন millionaire-এর মেয়ে ; রূপে Algernon বিদ্যাধর, Millicent বিদ্যাধরী। কিছুদিন হল পরস্পর পরস্পরের প্রণয়াসক্ত হয়েছেন, এবং সে প্রণয় অতি পবিত্র, অতি মধুর, অতি গভীর। এই fGetG4 Algernon fŘ4 (3*3 offer to 4Ç4, Millicent Til accept করবেন।-contract পাকা হয়ে যাবে ! সেকালে কোনও বর্ষার দিনে কালিদাসের আত্মা যেমন মেঘে চড়ে অলকায গিয়ে উপস্থিত হয়েছিল, এই দুর্দিনে আমার আত্মাও তেমনি কুয়াসায় ভর করে এই নভেল-বর্ণিত রূপার রাজ্যে গিয়ে উপস্থিত হল। কল্পনার চক্ষে দেখলুম, সেখানে একটি যুবতী,-বিরাহিণী যক্ষ-পত্নীর মত -আমার পথ চেয়ে বসে আছে । আর তার রূপ ! তা বর্ণনা করবার ক্ষমতা আমার নেই। সে যেন হারেমাণিক দিয়ে সাজানো সোণার প্রতিমা । বলা বাহুল্য যে, চারচক্ষুর মিলন হবামাত্ৰই আমার মনে ভালবাসা উথলে উঠল। আমি বিনা বাক্যব্যয়ে আমার মনপ্ৰাণ তার হাতে সমর্পণ করলুম। সে সস্নেহে সাদরে তা গ্ৰহণ করলে। ফলে, যা পেলুম তা শুধু যক্ষকন্যা নয়, সেই সঙ্গে যক্ষের ধন। এমন সময় ঘড়িতে টং টং করে চারটে বাজল,-অমনি আমার দিবাস্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। চোখ চেয়ে দেখি, যেখানে আছি সে রূপকথার রাজ্য নয়, কিন্তু একটা সঁ্যাতসেঁতে অন্ধকার জল-কাদার দেশ। আর একটু ঘরে বসে থাক! আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠল; আমি টুপি ছাতা ওভারকোর্ট নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লুম। জানই ত, জলই হোক, ঝড়ই হোক, লণ্ডনের রাস্তায় লোকচলাচল কখনও বন্ধ হয় না,-সেদিনও হয়নি। যতদূর চােখ যায় দেখি, শুধু মানুষের স্রোত চলেছে-সকলেরই পরণে কালো কাপড়, মাথায় কালো টুপি, পায়ে কালো জুতো, হাতে কালো ছাতা। হঠাৎ দেখতে মনে হয় যেন অসংখ্য অগণ্য Daguerrotype-এর ছবি বইয়ের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে, রাস্তায় দিশেহারা হয়ে ছুটােছুটি করছে। এই লোকারণ্যের ভিতর, ঘরের চাইতে আমার বেশি একলা মনে হতে 8