ট্রাজেড়ির সূত্রপাত \p { নয়, প্রথম দিনের আলাপেই তার পরিচয় পেলুম। দেখলুম নানা বিষয়ে তার কৌতুহল আছে, জািনবার ইচ্ছে আছে; কিন্তু ভাষার সৌন্দৰ্য সম্বন্ধে সে সম্পূর্ণ উদাসীন। সে দেহে না হোক মনে এখনও বালিকা, স্ফুটনোন্মুখ কলিকামাত্র। তারপর দুদিনেই বুঝলুম যে, মেয়েটির দর্শন লাভ করে অবধি আমার ভিতরে একটা মস্ত পরিবর্তন ঘটেছে। আমার মন আর আত্মবশে নেই । যেন সে মন রূপলোকে উঠে গেছে, যে-লোকে মর্তের কোনও বিধিনিয়ম নেই ; আমি যেসব বিধিনিয়ম জীবনে ও মনে এতদিন গ্রহণ ও পালন করে এসেছি, আর যাদের সাহায্যে নিজেকে একরকম গড়ে তুলেছি, সে-সব বিধিনিষেধের বন্ধন আমার শিথিল হয়ে এসেছে । সংক্ষেপে, প্ৰতিমার সুমুখে বসে তার চোখের আলোতে মানব-সমাজ যে শুধু পারিবারিক সমাজ নয়, সে সত্য প্রত্যক্ষ করলুম। এ সমাজের বাইরে যে একটা আনন্দ ও বেদনার জগৎ রয়েছে, তার সন্ধান পেলুম। দুদিন না যেতেই আমার মনের অকারণ চঞ্চলত, অজানা আনন্দ ও তার সঙ্গে অজানা ভয়-এই সব অস্পষ্ট মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠল। আমি বুঝলুম যে, আমি এই মেয়েটির ভালবাসায় পড়েছি। এ সেই-জাতীয় ভালবাসা যা প্রথম যৌবনে মানুষের মন কখনও কখনও অভিভূত করে ; আর এ ভালবাসার বেগ এত তীব্র যে, তার মুখে আমার ধর্মজ্ঞান, সামুক্তিক জ্ঞান, সব ভেসে গেল। আমি নিজের কাছেও আমার এই মনের কথাটি গোপন রাখতে প্ৰাণপণে চেষ্টা করলুম। কিন্তু তাতে কোনও ফল হল না; বরং আমার মনের কথাটি প্রতিমাকে বলবার একটি অদম্য আকাঙ্ক্ষা আমার মনকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললে। আমার এ বয়সে এ মনােভাব হওয়া যতদূর সম্ভব ridiculous, আর সে কথাটি প্রতিমাকে g5 Sf4 5āIS Gafiț ridiculous, Si osoBU अभि अनडूभ । তৎসত্ত্বেও আমি মন স্থির করলুম যে, কথাটি প্রতিমাকে বলে তারপর পলায়ন করব। স্বর্গভ্ৰষ্ট হয়ে তারপর যে কোথায় যাব, কি করব, তা অবশ্য একবার ভাবিওনি। তার পরদিন আমি প্রতিমাকে বললুম যে, আমি তাকে আর পড়াতে আসব না। সে জিজ্ঞাসা করলে-কেন ?
