পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

佩不牢犯 سb এর পর বেনজীরের সঙ্গে অবনীভূষণের কি কথাবার্তা হল জানিনে। কিন্তু এই কথোপকথনের ফলে বেনজীর বিবাহন্তে আর কলকাতায় ফিরে গেল না; রায়নগরে অবনীভূষণের Guest House-এ এসে অধিষ্ঠিত হল। আর অবনীভূষণও নিত্য তার সঙ্গীতসুধা পান করতে DBBDBBD S DDBB BBBD DBB DDBD BSB D DBD DDDSSDDD স্ত্রী হল তাঁর ধর্মপত্নী, আর বেনজীর তীর রূপপত্নী! So বেনজীর অবশ্য কুলবধূ ছিল না। সে চ’মাস পরেই চলে গেল। মজলিস, বহুশ্ৰোতা ও সমাজদারের বাহবার অভাব অবনীভূষণের অর্থ পূরণ করতে পারল না; অবনীভূষণ তখন দ্বিতীয় সুধাপাত্রের জন্য পিপাসিত হয়ে উঠলেন; ফলে দ্বিতীয়ের পর তৃতীয়, তৃতীয়ের পর চতুর্থ ইত্যাদি ক্রমে তার পাত্রের পর পাত্র আমদানী হতে লাগিল । আমাদের মতে তিনি একেবারে অধঃপাতে গেলেন । শেষটায় তঁরা দশা এই হল যে, তিনি শ্যাম্পেনের সাধ ধেনোয় মেটাতে আরম্ভ করলেন। কিন্তু দিনের পর দিন তিনি মনের শান্তিও হারাতে লাগলেন। স্ত্রীজাতির প্রতি আসক্তি র্তর দেহমানের যে একটা বিশ্ৰী অভ্যাস পরিণত হচ্ছে, সে বিষয়ে মনে আর কোন সন্দেহ রইল না। কারণ অবনীভূষণ যতই অধঃপাতে যান না কেন, তার কােণ্ডজ্ঞান একেবারে লোপ পায়নি, এবং মনের সুপ্রবৃত্তিগুলি একেবারে নিমূল হয়নি। তাঁর এই নূতন মত্তত তীর সমস্ত মনকে অভিভূত করতে পারেনি। র্তার স্ত্রীর প্রতি তঁর শ্রদ্ধা ও অনুরাগ এই সময়ে বেড়েছিল বই কমেনি। কারণ, এ কথা তিনি জানতেন যে, তঁর নব প্ৰণয়িনীর দল কেহই শ্রদ্ধার পাত্রী নন, আর এদের কারও কাছ থেকে তিনি যথার্থ ভালবাসা পাননি। অথচ তিনি এই সব রক্তমাংসের পুতুলদের মায়া কাটাতে পারতেন না। তঁর মন নিজের প্রতি ধিক্কারে ভরে উঠল। এ অবস্থায় তঁর মনে হল যে, যদি কেউ তঁাকে এ পঙ্ক থেকে উদ্ধার করতে পারেন ত সে প্যারীলাল। কিন্তু প্যারীলাল যে কোথায় কোন