9२२ १छन९१श् যেদিন তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হল, সেই দিনই তিনি সিদ্ধিলাভ করলেন। স্ত্রীর মুখাগ্নি করে এসে তিনি নখের বস্ত্রাবরণ মুক্ত করে দেখেন যে, নখদর্পণে র্তার স্ত্রীর অপরূপ, সুন্দর ও করুণ দিব্যমূর্তি ফুটে উঠেছে। এ ছবি নাকি ধুলেও যায় না, অথচ অপর কেউই তা দেখতে পায়ু না, এক স্বয়ং সাধক ব্যতীত । এসব কথা শুনে মনে হল যে, অবনীভূষণ বনিতাবিলাস রোগমুক্ত হয়ে উন্মাদ হয়েছেন, আর সেই সঙ্গে প্রমাণ পেলুম যে, প্যারীলাল শুধু বশীকরণের নয়, মারণ উচাটনেরও মন্ত্র জানেন; কারণ, অবনীভূষণের উন্মাদ আর স্ত্রীর অকাল মৃত্যু, দুই-ই প্যারীলালের মন্ত্রতন্ত্রের ফল। এর পর অবনীভূষণকে কোনরূপ সাংসারিক উপদেশ দেওয়া বৃথা জেনে আমি বললুম—“তোমার ধনসম্পত্তি তুমি তোমার মন্ত্রদাতা গুরুর হাতেই সমৰ্পণ করে, তিনি তার সদ্ব্যবহার করবেন।” উত্তরে অবনী বললেন-“এ প্রস্তাব আমি প্যারীলালের কাছে করেছিলুম; তিনি তা শোনাবামাত্রই প্ৰত্যাখ্যান করলেন এই বলে যে-"ডানহাতে যদি কাঞ্চন ধরি ত বঁ-হাতে আবার কামিনী এসে পড়বে, আর এ উভয় সীমার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়ার চাইতে, অসীমের মধ্যে দিশেহারা হওয়া শতগুণে ভাল, কিন্তু শ্ৰেয় নয়।’ অবনীভূষণের এ কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলুম; কারণ বুঝলুম যে, প্যারীলালের মুখের কথা শুধুparadox নয়, লোকটা স্বয়ং একটি জীবন্ত paradox !