পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'Jछऊर्क्ष-- ଐନ୍ଦ୍ୟ, ) আমরা জাহাজে উঠেই আবিষ্কার করলুম, তিনি আমাদের রসদের এমনি সুব্যবস্থা করেছেন যে, তার প্রসাদে ভূ-প্রদক্ষিণ করা যায়। দেশী বিলেতি চৰ্য্য চােস্য লেহ পেয়ী-কিছুই বাদ ছিল না। উপরন্তু তার সঙ্গে জনৈক ডাক্তার ছিলেন, যিনি উক্ত জাহাজ একটি লটকৃষ্ণ পালের শাখা ডাক্তারখানা খুলেছিলেন। তার উপর তাম্বু, কাপথটি প্রভৃতি ংগ্ৰহ করতে তিনি ভোলেননি। আমাদের ধনী 1's Robinson Crusoe পড়েছিলেন। সুতরাং মাঝদরিয়ায় জাহাজ ডুবি হলে পদ্মার চড়ায় উঠে কি কি জিনিসের প্রয়োজন হবে, তার ফর্দ করে সে সব জিনিস সংগ্রহ করেছিলেন। এই সতর্কতার ইংরেজী নাম কি hydrophobia ? \3, আমি লিখতে বসেছি একটি গল্প-পূর্ববঙ্গের ভ্রমণকাহিনী নয়। তার কারণ, পূর্ববঙ্গের বর্ণনার কোন প্রয়ােজন নেই। আমরা পূর্ববঙ্গে যাই আর না। যাই, পূর্ববঙ্গ এখন কলকাতায় এসেছে। দক্ষিণ কলকাতাও পূর্ববঙ্গের উপনিবেশ হয়ে পড়েছে! এ অঞ্চলে অবশ্য নদী নেই, কিন্তু লেক আছে। সুতরাং গল্পের ভূমিকা স্বরূপ যে দুটি একটি কথা বলা আবশ্যক, শুধু তাই বলব। আমরা কলকাতা থেকে গোয়ালন্দ গিয়েছিলুম রেলীে, গোয়ালন্দ থেকে নারায়ণগঞ্জ স্টীমারে, আর সেই স্টীমারেই নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর, তারপর চাঁদপুর থেকে বরিশাল ; আর বরিশাল থেকে সুন্দরবন ঘুরে, বারাতলার মোহান উৎরে, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসি। এ যাত্ৰায় আমরা মাটির চেয়ে জল ঢের বেশি দেখেছি । এর কারণ, আমরা কিছু দেখতে বেরইনি, বেরিয়েছিলুম স্মৃতি করতে,-অর্থাৎ অনর্গল গল্প করতে ও হাসতে, যে গল্প ও যে হাসির মাথামুণ্ডু নেই। কিন্তু নদী কোথাও এত চওড়া নয় যে, একসঙ্গে তার দুকূল দেখা যায় নী। শুধু মেঘনার মােহানা পাড়ি দেবার সময় আমাদের দলপতির মন একটু দমে গিয়েছিল, ও মুখ একটু বিবৰ্ণ হয়েছিল,—সুমুখে পিছনে