পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y9brኳሙ *ाझम९#iश् ठाकूब्रागैी এই সংস্কৃত বচন আউড়েই ঘোষাল বললেন-আর চার ড্রাম, liquor glass-এ। এখন আমি সুর বদলে নেব, নইলে এ ইতিহাস কাব্য হয়ে উঠবে।--অর্থাৎ প্ৰলাপ। চার ড্রােম একটা বুড়ো আঙুলের মত গোলাসে এল; এক চুমুকে গেলাসটি খালি করেই ঘোষাল আবার তার গল্প আরম্ভ করলে :- যে মহিলাটির রূপবর্ণনা করতে পারিনি, এখন তার গুণবর্ণনা করি। র্তার নাম ত্রিপুরাসুন্দরী, এ বাড়ীতে তিনি ঠাকুরাণী নামেই পরিচিত। তার কারণ তিনি রায় মশায়ের দ্বিতীয় পক্ষের শ্যালক হরিসত্য শৰ্মা ঠাকুরের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। বিবাহের পর থেকে তিনি এই বাড়ীতেই বাস করছেন, বিদেহ আত্মার মত ; কেননা তীর দেখাসাক্ষাৎ সকলে পায় না। অথচ তিনি হয়ে উঠেছেন এ পরিবারের হত্যু কতা বিধাতা। এরি নাম নীরব প্ৰভুত্ব। এক কথায়, সকলেই ছিল তার বশীভূত; হয়ত তীর রূপের জ্যোতিই ছিল তার বশীকরণ-মন্ত্র, নয় তা তার অন্তরের C夺杯3 q弈{颈1 উপরন্তু তিনি ছিলেন বিদুষী। বিয়ের বছরখানেক পরে তাঁর স্বামীবিয়োগ হয়, তারপর থেকেই তিনি বিদ্যাচর্চা সুরু করলেন। সংস্কৃত ভাষায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন সুপণ্ডিত। পণ্ডিতমশায় ছিলেন তঁর শিক্ষক। তিনি বিধবার আচার ‘ক’ থেকে ‘ক্ষ’ পর্যন্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন, যদিচ শাস্ত্রে তীর কোনরূপ ভক্তি ছিল না। পণ্ডিতমশায়ের কাছে শুনেছি, কিছুদিন বেদান্তচর্চা করে তিনি তঁকে বলেন যে, ও আধ্যাত্মিক ধূমপানে আমার অরুচি হয়ে গিয়েছে। পণ্ডিত মশায় তখন বলেন যে, তবে কাব্যামৃতরসাস্বাদ করুন। তারপর থেকেই সুরু হল রামায়ণ, কালিদাস ও ভবভূতির চর্চা। এসব কাব্যইতিহাস চর্চা করেও তিনি তৃপ্তিলাভ করেননি। তিনি নাকি বলতেন যে, যা হওয়া উচিত তার কথা একরঙ, আর সে রঙও জ্বলা। যা হয়, তাই বিচিত্র। এর পর থেকে তিনি ইংরাজী শিখেছেন, আমিও পণ্ডিত