পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やあo ';Rsk জবাব শুনে রায়মশায় বললেন, “বহুত আচ্ছা!”-ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ কি একেবারে ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর নন ?--তাই তাঁর লীলাখেলা হচ্ছে একদিকে সৃষ্টি আর একদিকে প্ৰলয়। প্রফেসর বললেন যে, একে তিন ধর্মে হতে পারে, অঙ্কে হয় না। আমি বললুম-গণিতেও হয়, কেননা কৃষ্ণ হচ্ছেন বীজগণিতের X, তাঁকে বিন্দুও করা যায়, তেত্রিশকোটিও করা যায়।-এর থেকে বুঝতে পারছেন, তিনি কত বড় ক্রিটিক। 邓钟杰g সে যাই হোক, রাণীমার মুখপাত্র হয়ে সখীরাণী আদেশ করলেন যে, আজ একটি আজগুবি গল্প বল। প্রফেসর অমনি বলে উঠলেন যে— ঘোষাল মহাশয় যা বলবেন, তাই আজগুবি হবে। আমি সখীরাণীকে সম্বোধন করে বললুম-শুনলে ত, আমি যা বলব। তাই আজগুবি হবে, সেই ভরসায় আমি গল্প সুরু করছি। প্রফেসর একটু বিরক্ত হয়ে বললেন যে-ঘোষাল যা বলবে তা শুধু গল্পই হবে।--অর্থাৎ গল্প হৰে না; তার ভিতর দর্শন বিজ্ঞান কিছুই থাকবে না। ;-ওরকম গল্প একালে চলে না! এ যুগে কাব্য হচ্ছে শাস্ত্রের বেনামদার। আমি বললুম-ত। যদি হয় ত পণ্ডিতমশায় গল্প বলুন, তার পরে আমি শাস্ত্ৰচৰ্চা করব । এ কথা শুনে সখীরাণী খিলখিল করে হেসে উঠলেন, সঙ্গে সঙ্গে আর সকলেও,-মায় ঠাকুরাণী। ফলে তঁদের দন্তরুিচিকৌমুদীতে আকাশবাতাসও হেসে উঠল। তারপর সখীরাণী আবার আদেশ করলেন-এখন গল্প বল, কাল বৈঠকখানায় বসে তর্ক করা। আমি মনে করেছিলুম, গল্প বলব “অচেতন প্রেমের।” কিন্তু বেগতিক দেখে শেষটা নেহাৎ বেপরোয়া গল্প সুরু করে দিলুম। তার পত্তন করলুম। চীনদেশে। কল্পনাকে দিলুম দেশের ঘুড়ির মত উড়িয়ে, আর সেই চীনেমাটির দেশের ফুল ফল ও নরনারীর বঁাকা চেহারার বর্ণনা করলুম। সে সবই এড়ো, সবই তেরাচ, চীনেদের চােখের মত।