পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दैौदाशे \ যথার্থ আর্টিস্ট। এই কারণেই আর্ট যে কি বস্তু, তা বুঝিয়ে বলা যায় না। আর্টের অভিধানও নেই, ব্যাকরণও নেই। সেকেলে শাস্ত্রীরা গড়তেন ব্যাকরণ--অর্থাৎ বিধি-নিষেধের ফর্দ । আর একেলে শাস্ত্রীরা লেখেন আর্টের অভিধান-অৰ্থাৎ ব্যাখ্যা। আমি বললুম-“ঘোষাল, তোমার মতামত দার্শনিক হতে পারে, কিন্তু অবােধ্য। অনেক মাথা ঘামিয়ে বুঝতে হয়।” ঘোষাল বললে—“আমার যা মনে হল, তাই বললুম। আমার কথা বুটাে কি সাচ্চা, সে বিচার আপনার করবেন। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যে সত্যের সাক্ষাৎ পেয়েছি, তাই শুধু বলতে পারি ও বলি। এখন সঙ্গীতবিদ্যা সম্বন্ধে আমার অভিজ্ঞতার কথা শুনুন। এ বিষয়ে আমার পটুতা একরকম অশিক্ষিত পটুত্ব। আমি ছেলেবেলা থেকেই গান গাইতুম, কেননা গেয়ে আমি আনন্দ পেতুম ; আর শ্রোতারাও শুনে আনন্দিত হতেন। সেকালে আমি কোনরূপ শিক্ষার ধার ধারতুম না। এ বিষয়ে আমি ছিলুম শ্রুতিধর। একটি গান শোনাবামাত্র তন্মুহুর্তে পাঁচজনকে তা শোনাতে পারতুম। এরি নাম বােধ হয় প্রাক্তন সংস্কার। পৃথিবীতে যে-বস্তু আনন্দঘন—তা স্বপ্রকাশ। DB BE DD DB DB DSS DBBBDBD S DDD DBB Dz সুর-কথা নয়। তারপর আমি যখন প্ৰব্ৰজ্যা গ্ৰহণ করি, তখন কাশীতে একটি বৃদ্ধ পূজারী ব্ৰাহ্মণের কাছে গান শিক্ষা করি—আমার কণ্ঠস্বরকে আত্মবশে আনবার জন্য। বৃদ্ধ আজীবন শুধু পূজাপাঠ ও সঙ্গীতচৰ্চাই করেছিলেন। গানের অন্তরে যে কি দিব্যভাব আছে, তার প্রথম পরিচয় পাই এই বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণের প্রসাদে । তারপর আমি এ বিদ্যা শিক্ষা করি স্বয়ং সরস্বতীর কাছে।” আমি বললুম,-“ঘোষাল, কথা আজ তুমি বেপরোয় ভাবে বলছি।” তিনি উত্তর করলেন,-সত্য কারও পরোয়া করে না। আমার