পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दौभावाशे Joss হতে পারে না। এ কথা স্বয়ং। শুকদেব বলে গিয়েছেন ভাগবতে। অন্যকে শেখান তার কাজ নয়, কিন্তু আমার অনুরোধ তিনি রক্ষা করবেন।” দেবীদর্শন তার পরদিন আমি প্রত্যুষে রামকুমারের দ্বারস্থ হলুম। একটি দাসী এসে আমাকে তঁর সঙ্গীতশালায় নিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে দেখি, যিনি একটি রাঙ্কব আসনে উপবিষ্ট আছেন, তিনি স্বয়ং সরস্বতী ; তম্বী, গৌরী, বিগাঢ়-যৌবনা, শ্বেতবসনা। আর তার কোলে একটি বীণা। এ সরস্বতী পাথরে কেঁাদ নয়, রক্তমাংসে গড়া। আমার মনে হল এ রমণী বাঙালী। কেননা তঁর মুখেচােখে “নিমক’ ছিল ; সংস্কৃতে যাকে বলে। লাবণ্য। কোনও বৈষ্ণব কবি এর সাক্ষাৎ পেলে বলতেন, -“ঢল ঢল। কঁচা অঙ্গের লাব্বণি অবনী বহিয়া যায় ; যে কথা কোনও হিন্দুস্থানী সুন্দরীর সম্বন্ধে বলা যায় না। আমাকে দেখে তিনি প্রথমে একটু অসোয়াস্তি বােধ করতে লাগলেন ; যেন কোনও পূর্বস্তৃতি তাঁর মনকে বিচলিত করেছে। মুহূর্তে সে ভাবটা কাটিয়ে নিয়ে তিনি আমাকে হিন্দী ভাষায় প্রশ্ন করলেন-“আপনি ব্রাহ্মণ ?” আমি বললুম,-“আমি ব্ৰাহ্মণবংশে জন্মগ্রহণ করেছি। ” এ কথা শুনে তিনি আমাকে নমস্কার করলেন। তারপর বললেন। -“আপনি একটি গান করুন, সে গান শুনে আমি বুঝব আপনি नौठ-४ों किमीं ।” আমি একটি তম্বুরা নিয়ে “নৈয়া ঝাঁঝরি” বলে একটি আশাবরীর গান গাইলুম। এ গান আমার পূজারী ঠাকুরের কাছে শেখা। আমি গানটি সেদিন পূরো দরদ দিয়ে গেয়েছিলুম। একে বসন্তকাল, তার উপর উষার আলোক,--আর সুমুখে ঐ দিব্যমূর্তি। তাই মনের যত আনন্দ, যত আক্ষেপ আমার কণ্ঠে রূপধারণ করেছিল। মনে হল, আমার গান শুনে তিনিও আনন্দিত হলেন।