পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 t 粥平@求 -অনাত্মাত পুষ্প । -ys -হঁ, আমি। মাস্টার মশায়কে কখনও স্পর্শ করিনি, স্বপ্নেও নয়। —অর্থাৎ তুমি কুলত্যাগ করেছ, কিন্তু জাত বঁচিয়েছ ? —ব্রাহ্মণত্বের অহঙ্কার তোমার মত আমারও আছে; কিন্তু জাতিধর্মে আমার ভক্তিও নেই, ভয়ও নেই। --তোমার কথা বিশ্বাস করিনে। তুমি বলতে চাও-তোমার দেহ রক্ত-মাংসে গঠিত নয় ? --তুমি পাষাণে গড়া হতে পাের, কিন্তু আমি শুধু রক্তমাংসে গড় ; জীবন্ত রক্তমাংসেরও রুচি-অরুচি আছে। প্ৰবৃত্তি যেমন স্বাভাবিক, অপ্ৰবৃত্তিও তেমনি স্বাভাবিক। প্রবৃত্তি অবশ্য দমন করা যায়, কিন্তু অপ্ৰবৃত্তি দমন করবার যদি কোনও সদুপায় থাকে, তা আমার জানা নেই। এ কথা শোনবার পর বৌঠাকুরাণী মুষড়ে গেলেন। তঁর ভাবান্তরঘটল; তীর মুখ থেকে। তাচ্ছিল্যের বীজ-লেপের মুখোস যেন খসে পড়ল। তিনি বললেন-বীণা, তোমার শরীর কেমন আছে ? --ভালই । —তােমারও না হার্ট একটু বিগড়েছিল ? —সেটুকু বেগড়ান। এখনও আছে। মাঝে মাঝে palpitation এখনও হয়। ও বস্তু একবার বেগড়ালে মেরামত করা যায় না। এই খানিকক্ষণ আগে বুক বেজায় ধড়াস ধড়াসা করছিল; এখন হৃৎপিণ্ডটা আর ততটা লাফাঝাঁপি করছে না, তাই যাই দাদাকে দেখে আসি। ঘোষাল, তুমি উপরে যাও। আমার দলবলকে এখনই দেশে ফিরে যেতে বল। আর কাকাবাবুকে বল যে, তঁর কাছে আমার যে টাকাকড়ি আছে, তা তাকেই দিলুম। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বাড়ী খালি कश bई ! “আচ্ছা’ বলে আমি উপরে গেলুম, আর বীণা তার দাদার শোবার ঘরে গেলেন। বৌঠান কোন বাধা দিলেন না।