পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্ত্রশক্তি 8ዩ»እ ওকে হুজুরের কথায় আজকের দিনের মত অনুমতি দিচ্ছি। দেখা যাক, ও কি ছেলেখেলা করে।” লেঠেলদের অনুমতি পাবার পর, ঈশ্বর কোমরের কাপড় তুলে বুকে বাঁধলে, আর তার ঝাঁকড়া চুল একমুঠি ধূলো দিয়ে ঘষে ফুলিয়ে তুললে ; তারপর মাটিতে জোড়াসন হয়ে বসে, পাঁচ মিনিট ধরে বিড় বিড় করে DD DDBDBDBD DBD SS BBBB BDDBB BDB BBD DBDBDB DDDDYS “দেখছেন, বেটা মন্তর আওড়াচ্ছে, আমাদের নজরবন্দী করবার জন্যে।” ঈশ্বর এ সব চোঁচামেচিতে কৰ্ণপাতও করলে না। তারপর যখন সে উঠে দাঁড়ালে, তখন দেখি সে আলাদা মানুষ। তার চোখে আগুন জুলছে, আর শরীরটে হয়েছে ইস্পাতের মত। ( 8 ) ঈশ্বর বললে, “প্ৰথম এক হাত লক্ড়ি নিয়েই ছেলেখেলা করা যাক। এদের ভিতর কে বাপের বেটা আছে, লাকড়ি ধরুক।” মনিরুদি সর্দার বললে, “আমার ছেলে কামালের সঙ্গেই এক হাত খেলে, তাকে যদি হারাতে পার তাহলে আমি তোমাকে লকড়ি খেলা কাকে বলে তা দেখাব।” তার পরে একটি বছর-কুড়িকের ছোকরা এগিয়ে এল। সে তার বাপের মতই সুপুরুষ, গৌরবর্ণ ও দীর্ঘাকৃতি ; বঁ হাতে তার ছোট্ট একটি বেতের ঢাল, আর ডান হাতে পাকা বঁাশের লাল টুকটুকে একখানি লক্ড়ি। খেলা সুরু হল। এক মিনিটের মধ্যেই দেখি-কামালের লকৃড়ি ঈশ্বরের বঁ হাতে, আর কামাল নিরস্ত্ৰ হয়ে বোকার মত দাড়িয়ে আছে। তখন ঈশ্বর বললে, “যে লাকড়ি হাতে ধরে রাখতে পারে না, সে আবার খেলবে কি ?” এ কথা শুনে মনিরুদি রেগে আগুন হয়ে লকড়ি-হাতে এগিয়ে এল। ঈশ্বর বললে -“তোমার হাতের লক্ড়ি কেড়ে নেব না, কিন্তু তোমার গায়ে আমার লকুড়ির দাগ বসিয়ে দেব।” এর পরে পাঁচ মিনিট ধরে দুজনের লকড়ি বিদ্যুৎবেগে চলাফেরা করতে লাগল। শেষটায় মনিরুদ্দির লক্ড়ি উড়ে