পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 外研 蛋 নেই। বাঘরাও মানুষ চেনে, অর্থাৎ কে খাদ্য আর কে অখাদ্য। সে যাই হােক, রাত এগারটা আন্দাজ বেরিয়ে পড়লুম। আর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই খঞ্জনার ধারে গিয়ে পড়লুম। খঞ্জনা কখনও দেখেছেন ? BB DDD S S BBB SDBB DDBDBD BB LDBO DDD SLuDBDBD বারোমাস তাতে জল থাকে, আর সে জল বারোমাসা টলটল করছে, " তক তক্‌ করছে। এই খঞ্জনার ধার দিয়েই সোজা নন্দীগ্রাম যেতে হয়। কোজাগর পূর্ণিমার রাত, চাঁদের আলোয় গাছপালা সব হাসছে, আর আলোকলতায় ছাওয়া কুলের গাছগুলো দেখতে মনে হচ্ছে যেন সব সোনার তারে জড়ান। আমি মহা স্মৃতি করে চলেছি, ক্ৰমে পালপাড়ার সুমুখে গিয়ে উঠলুম। পালপাড়া বলে এখন কোনও গ্রাম নেই, কিন্তু তার নাম আছে। সমস্ত গ্ৰাম বনজঙ্গলে গ্ৰাস করেছে । সুধু এ গ্রামের সেকালের ধনকুবের সনাতন পালের আধিক্রোশজোড়া ভাঙ্গা বাড়ী পালদের উড়ে-যাওয়া টাকার সাক্ষ্য দিচ্ছে। এমন সময় নদীর মধ্যে থেকে একটি গানের সুর আমার কানে এল। গানের সুর বোধ হয় ভাটিয়ালী। বঁাশীর মত মিষ্টি তার আওয়াজ। সে গান শোনাবামাত্র মন উদাস হয়ে যায়, আর চোখে আপনা হতেই জল আসে । জীবনের যত আক্ষেপ যেন সে গানের মধ্যে আছে । একটু পরে দেখি-পাঁচটি তামার ঘাড়া উজান বেয়ে ভেসে আসছে, আর তার উপরে একটি ছেলে জোড়াসন হয়ে বসে গান করছে। সে যেন সাক্ষাৎ দেব-পুত্র। ধবধবে তার রঙ, কুঁদে কাটা তার মুখ, পায়ে তার সোনার মল, হাতে সোনার বালা ও বাজু, গলায় সাতনলী হার। বুকে ঝুলছে সোনার পৈতে। পরণে রক্তের মত লাল চেলি, কপালে রক্তচন্দনের ফোঁটা। একটু লক্ষ্য করে দেখলুম, যা তার সর্বাঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তা সোনার অলঙ্কার নয়—সোনার সাপ। আর সেই দেববালকের কোলে রয়েছে একটি ছোট ছেলের কঙ্কাল। তখন বুঝলুম, এটি হচ্ছে একটি যখ। আর মনে পড়ল ছেলেবেলায় শুনেছিলুম যে, পরম বৈষ্ণব সনাতন পাল একটি ব্ৰাহ্মণের ছেলেকে যখ দিয়েছিলেন, সে তঁর ধন রক্ষা করেছিল। কিন্তু তঁর বংশ নির্বংশ করেছিল।