পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शुश्रं 8s আমি সনাতন পালের পোড়ে-বাড়ীর সুমুখে দাঁড়িয়ে একদৃষ্টি এই দিব্য-মূর্তি দেখছিলুম। আর একমনে এই পাগল-করা গান শুনছিলুম। হঠাৎ কোথেকে কষ্টিপাথরের মত কালো এক টুকরো মেঘ এসে চাঁদের মুখ ঢেকে দিলে। অমনি চারদিক অন্ধকার হয়ে গেল। এই ঘোর অন্ধকারে সেই সব তামার ঘড়া আর সেই দেব-বালক অদৃশ্য হয়ে গেল -আর তার গানের সুরও আস্তে আস্তে আকাশে মিলিয়ে গেল। অমনি সেই মেঘও কেটে গেল, আর দিনের আলোর মত ফুটফুটে জ্যোৎস্নায় গাছপালা সব আবার হেসে উঠল। তখন দেখি, আমি যেখানে দাঁড়িয়েছিলুম। সেইখানেই দাঁড়িয়ে আছি। আমার সর্বাঙ্গ আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছে, যেন আমার রক্তমাংসের শরীর পাযাণ হয়ে গিয়েছে । খানিকক্ষণ পরে আমার দেহ-মন ফিরে এল, আর নিশিতে পাওয়া লোক যে ভাবে হাঁটে সেই ভাবে হাঁটতে হাঁটতে সূর্য ওঠবার আগে নন্দীগ্রামে গিয়ে পৌঁছলুম। কিন্তু এই যখ দেখার কথা কাউকেও বলিনি। কারণ এ কথা মুখে মুখে প্রচার হলে, হাজার লোক খঞ্জনায় নেমে পড়ত, ঐ তামার ঘাড়ার তল্লাসে। অবশ্যই তাতে সব ঘড়া ডুবুরীরা উপরে তুলতে পারত নামধ্যে থেকে তারা খঞ্জনার ফটিক জল শুধু ঘুলিয়ে দিত। আর যদি তারা সেই মােহর-ভরা ঘড়া তুলতেই পারত, তাহলে অfরও সর্বনাশ হত। কারণ ঐ সব ঘড়ায় পোরা প্ৰতি মোহরটি সোনার সাপ হয়ে গিয়েছিল। সে সাপ যখের গায়ের গহনা, কিন্তু মানুষে ছোবামাত্র भश् च । রমা ঠাকুরের গল্পও শেষ হল, আর পিসিমা এক বাটী পাচন নিয়ে এসে হাজির হলেন । এ গল্প যেমন শুনেছি তেমনি লিখছি। আশা করি এই পাড়াগোঁয়ে গল্প তোমাদের কাছে পাড়ার্গেয়ে কবিরাজী পাচনের মত বিস্বাদ লাগবে না। warnererre-ri