পাতা:গল্পসল্প - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চণ্ডী

পিছনে পিছনে। এত সাহস হত না যদি-না এদের পিছনে থাকত নামজাদ মুরুব্বি সব গান্ধিজির চ্যালা।

 দেখি দেখি কী লিখেছে, মন্দ হয় নি তো। লোকটার হাত দোরস্ত আছে—

আলো যার মিট্‌মিটে,
স্বভাবটা খিটখিটে,
বড়োকে করিতে চায় ছোটো,
সব ছবি ভুষো মেজে
কালো ক’রে নিজেকে যে
মনে করে ওস্তাদ পোটো,
বিধাতার অভিশাপে
ঘুরে মরে ঝোপে ঝাপে,
স্বভাবটা যার বদখেয়ালি,
খ্যাঁক্ খ্যাঁক্ করে মিছে
সব তাতে দাঁত খিঁচে,
তারে নাম দিব খ্যাঁকশেয়ালি।

 ও কী ও, আপনার দরজায় পুলিস যে!

 ব্যাপারটা কী।

 চণ্ডীবাবুর ছেলের নামে কেস এসেছে।

 হ্যাঁ, কিসের কেস।

 অনাথ-হাসপাতালের চাঁদার টাকা তিনি ভেঙে বসেছেন।

 মিথ্যে কথা। আগাগোড়া পুলিসের সাজানো। আপনি তো জানেন,

৩৩