দিয়ে, পাইন গাছের ছায়া দিয়ে। পড়েছিলুম ডাকাতের হাতে, সাদা ভালুক সামনে দাঁড়িয়েছিল দুই থাবা তুলে।
আচ্ছা, এত যে তুমি ঘুরে বেড়ালে, সময় পেলে কখন।
যখন ক্লাসসুদ্ধ ছেলে খাতা নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল।
তুমি পরীক্ষায় পাস করলে তা হলে কী করে।
ওর সহজ উত্তর হচ্ছে— আমি পাস করি নি।
আচ্ছা— তুমি বলে যাও।
এর কিছুদিন আগে আমি আরব্য উপন্যাসে চীনদেশের রাজকন্যার কথা পড়েছি, বড়ো সুন্দরী তিনি। আশ্চর্যের কথা কী আর বলব, সেই রাজকন্যার সঙ্গেই আমার হল দেখা। সেটা ঘটেছিল ফুচাও নদীর ঘাটে। সাদা পাথর দিয়ে বাঁধানো ঘাট, উপরে নীল পাথরের মণ্ডপ। দুই ধারে দুই চাঁপা গাছ, তার তলায় দুই পাথরের সিংহের মূর্তি। পাশে সোনার ধুনুচি থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া। একজন দাসী পাখা করছিল, একজন চামর দোলাচ্ছিল, একজন দিচ্ছিল চুল বেঁধে। আমি কেমন করে পড়ে গেলুম তাঁর সামনে। রাজকন্যা তখন তাঁর দুধের মতো সাদা ময়ূরকে দাড়িমের দানা খাওয়াচ্ছিলেন, চমকে উঠে বললেন, কে তুমি।
সেই মুহূর্তেই ফস্ করে আমার মনে প’ড়ে গেল যে, আমি বাংলাদেশের রাজপুত্তুর।
সে কী কথা। তুমি তো—
ঐ দেখো, আবার প্রশ্ন! আমি বলছি, সেদিন ছিলুম বাংলাদেশের রাজপুত্তুর, তাই তো বেঁচে গেলুম। নইলে সে তো দূর করে তাড়িয়ে দিত আমাকে।