( ৫ )
খুঁজিয়া পাওয়া যায় না তার প্রতি সর্ব্বদাই নজর রাখিতে হয়।”
উভয়ের এইরূপ কথাবার্ত্তা হইতেছে এমন সময় সুরেন্দ্র আসিয়া বলিল—“কি রমেশ, কি কথা হইতেছে?”
রমেশ সে কথায় কাণ না দিয়া একটু বিরক্তির ভাবে বালিকাকে বলিল—“তুমি হাজার কথা না বলিয়া কি শুধু জিনিসের নামটি বলিতে পার না?
বালিকা একটু থতমত খাইয়া বলিল, “আমি সুযোগ হারাইয়াছি।”
সুরেন্দ্র এই কথা শুনিয়া হাসিয়া বলিল, “হা হা হা—বাস্তবিক সুযোগ হারান বড় কষ্ট। আমি কিন্তু সে বিষয়ে বড়ই সাবধান। আজ সকালে আমার পড়া হয় নাই বলিয়া দুপুর বেলা বাবা আমাকে পড়িতে বলিলেন, বাবা যতক্ষণ বাড়ীতে ছিলেন ততক্ষণ কাজে কাজেই পড়িতে হইল। কিন্তু যেই বাবা বাহিরে গিয়াছেন অমনি আমি পলাইয়া আসিয়াছি—এমন সুযোগ আমি হারাই!”
সুষমা বলিল, “এ বুঝি সুযোগ! মন্দ কাজ করিতে যে সময় পাওয়া যায় মা তাকে “কুযোগ” বলেন। সেত হারানই ভাল। তুমি যে তোমার বাবার কথা শুনিলে না—তুমিও ত একটি সুযোগ হারাইলে—তবে আবার অত জাঁক করিতেছ কেন?”
সুষমার কথা রমেশেরও বড় ভাল লাগিল না—কারণ সেও ত মায়ের কথা শোনে নাই। বলিল, “ও কথা যাক,—তুমি কিসের সুযোগ হারাইয়াছ?
বালিকা বলিল, “আমি যে দিন দিদিমার বাড়ী গিয়াছিলাম, সে দিন দিদিমা আমাকে একটি টাকা দিয়াছিলেন। মা তাহা দেখিয়া বলিলেন, “আরে সুষি, তুই টাকা পেয়েছিস, বেশ!