পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৪২ )

 লক্ষ্মী আসিয়া মুখ বাঁকাইয়া, চোখ রাঙ্গাইয়া, অমলার হাত ধরিয়া হড় হড় করিয়া টানিতে টানিতে বিমলাকে বলিল “বলি, বিমলা, তােদের কি বুকের পাটা? সেদিন বারণ করেছি এ গাছের তলায় তােরা কেউ ফুল কুড়াবি নে, আবার এসেছিস্? এবার এখানে দেখ্‌তে পেলে হাড় ভেঙ্গে দেব।” অমলা ভয়ে কাঁদিয়া ফেলিল, বিমলা আস্তে আস্তে অমলার, হাত ধরিয়া সেখান হইতে চলিয়া গেল। লক্ষ্মী তাহাদের আঁচলের ফুল আপনার আঁচলে লইয়া চারিদিকে ছড়াইতে ছড়াইতে কিছু দূরে যেখানে কয়েকটি বালিকা ঘুটিম খেলিতেছিল, সেইখানে আসিয়া দাঁড়াইল। লক্ষ্মীকে দেখিয়া বালিকাগুলি একটু ভয়ে ভয়ে খেলিতে লাগিল।

 লক্ষ্মী বলিল, “আমি খেলব”।

 এক জন আস্তে আস্তে বলিল, “এ হাতটা আগে হার জিৎ হয়ে যাক।”

 লক্ষ্মীর রাগ হইল। সে বলিল, “কি? আমাকে নিয়ে খেলবি নে? দেখব তােদের এহাত কে খেলতে দেয়”! বলিয়া সমস্ত ঘুটি গুলি চারিদিকে ফেলিয়া দিয়া রাগে গর্ গর্ করিতে করিতে চলিয়া গেল। সে মুখ ফিরাইবা মাত্র তাহার পৃষ্ঠদেশ লক্ষ্য করিয়া মারিবার ছলে সকল বালিকারা হাত উঠাইয়া আস্তে আস্তে গালি দিতে লাগিল। তাহার সাক্ষাতে ত ভয়ে কিছু বলিতে পারে না, কাজেই সকলে তাহার পশ্চাতে এইরূপে শােধ তুলিয়া থাকে।

 লক্ষ্মী সেখান হইতে চলিয়া আসিয়া দেখিল, কুসুম পুকুরধারের কেয়াফুলের গাছ হইতে ফুল ছিঁড়িতেছে। লক্ষ্মী একে রাগিয়া আছে, তাহাতে আবার কুসুমকে কেয়াফুল ছিঁড়িতে দেখিয়া আরও জ্বলিয়া উঠিল। লক্ষ্মী, জানে সে বাগানের ফুলে লক্ষ্মী ভিন্ন, আর