বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৫২ )

স্বাস্থ্য।

 জ্ঞান ধর্ম্মের উন্নতি সহকারে প্রকৃত মনুষ্যত্বলাভ করাই যে মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য, তাহা তোমরা বুঝিয়াছ। যেমন আহার ব্যায়াম প্রভৃতি দ্বারা শারীরিক স্বাস্থ্য লাভ হয়, সেইরূপ জ্ঞান ধর্ম্মে মানসিক, আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যবিকাশিত হয়। বিদ্যানুশীলন আমাদের জ্ঞান-ধর্ম্ম লাভের বিশেষ সহায়তা করে।

 যদিও আমাদের দেশে অধুনা ধনোপার্জ্জনের জন্যই সাধারণত বিদ্যার আদর—মাতাপিতা বালকদিগকে অতি শিশুকাল হইতে বলিয়া থাকেন—“লেখা পড়া করে যেই, গাড়ী ঘোড় চড়ে সেই”। কিন্তু বস্তুতঃ কেবল ধনোপার্জ্জন নহে, বিদ্যা শিক্ষা দ্বারা জীবনের গুরুতর উদ্দেশ্য সকলও সাধিত হয়। বিদ্যায় আমাদের অজ্ঞানতার লাঘব হয়, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য সকলও বহুপরিমাণে আমরা বুঝিতে সমর্থ হই, এবং আমাদের কর্ত্তব্যপথও আমাদের নিকট উদ্ঘাটিত হয়; সুতরাং সকল বালকেরই বিদ্যাশিক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়া কর্ত্তব্য। কিন্তু লেখা পড়া করিতে গিয়া শরীরের স্বাস্থ্যের প্রতি তোমাদের যেন আস্থার অভাব না হয়। যেমন খাদ্যাদি পরিপাকের যন্ত্র পাকস্থলী, সেইরূপ বিদ্যা পরিপাকের অর্থাৎ বুদ্ধিবৃত্তি চালনার যন্ত্র মস্তিষ্ক। স্বাস্থ্যের হানি হইলে মস্তিষ্ক হীনবল হইয়া পড়ে, সুতরাং সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যা শিক্ষারও হানি হয়। যদিই বা স্বাস্থ্যের নিয়মভঙ্গ করিয়াহাতে হাতে ফল প্রাপ্ত না হওয়া যায় কিন্তু ভবিষ্যতে তাহার ফলভোগ অনিবার্য্য। এই কারণে এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভাল ভাল