পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৬৩ )

 আহার করিবার সময় ভাল করিয়া চর্ব্বণ করিয়া খাইবার দিকে যেন বিশেষ লক্ষ্য থাকে। চর্ব্বণের সহিত পরিপাকের বিশেষ ঘনিষ্ট সম্বন্ধ। শুনিতে পাওয়া যায় গ্ল্যাডষ্টোন প্রত্যেক মাংসের টুকরা গুণিয়া ৩২ যায় এবং রুটির টুকরা ১৬ বার করিয়া চর্ব্বণ করেন। স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষুদ্র নিয়মের প্রতিও এইরূপ দৃষ্টি আছে বলিয়াই এত বৃদ্ধ বয়সেও তিনি সুস্থ সবল আছেন। আহারের সময় সন্তুষ্টচিত্তে আহার করিলে শীঘ্র পরিপাক হয়।

 অতিরিক্ত ঝাল, টক বা মসলামিশ্রিত ব্যঞ্জন অধিক খাওয়া উচিত নহে। অনিয়মিত সময়ে যাহা তাহা খাওয়াও স্বাস্থ্যহানিকর,—তাহাতে বাজে জিনিষেই উদর পূর্ণ হইয়া যায়— নিয়মিত আহারের পক্ষে ব্যাঘাত জন্মে। আহারের পর কষ্ট হয়, এত অধিক করিয়া খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে অমঙ্গলজনক। তাহাতে ক্রমে ক্ষুধা মন্দ হইয়া আসে ও পরিপাকের ব্যাঘাত ঘটে। আর একটি কথা, তৈল ঘৃত দুগ্ধ মৎস্য মাংস এ সকলই যাহাতে খাঁটি ও তাল হয় তাহা দেখা উচিত।

 সাধারণ আহারের নিয়ম আমরা সংক্ষেপে একরূপ বলিলাম, তবে কোন খাদ্য কাহারও বিশেষ ধাতুতে পরিত্যক্ত হইতে পারে। যেমন অম্ল প্রধান ব্যক্তির পক্ষে ডিম্ব প্রশস্ত আহার নহে।

 সুতরাং কোন বিশেষ খাদ্য কাহার পক্ষে বিশেষরূপ ভাল বা মন্দ তাহা প্রত্যেকেরই বাল্যকাল হইতে বুঝিতে চেষ্টা করা উচিত। যতক্ষণ নিজে না তাহা ঠিক বুঝিতে পারা যায় ততক্ষণ ডাক্তার ও প্রতিপালিকাদিগের উপদেশ শুনিয়া এবিয়য়ে কার্য্য করাই শ্রেয়ঃ।