পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৭৭ )

দুইটী ফ্রাঙ্ক ধার দাও তবে আমি এখন এই বালিকাকে তাহার ডিমের মূল্য দিতে পারি”।

 মা বলিলেন “কিন্তু বুঝিয়া দেখ, তাহা হইলে তুমি আর চারি মাসের মধ্যে কিছুই পাইবে না”। নেপোলিয়ন তাহাতেও সম্মত হইয়া ফ্রাঙ্ক দুইটী লইয়া বালিকাকে দিলেন। বালিকা সন্তুষ্ট হইল এবং পূর্ব্ব প্রদত্ত ফ্লরিন দুইটী ফিরাইয়া দিতে চাহিল। বালিকার এইরূপ সদ্ব্যবহার দেখিয়া নেপোলিয়নের মাতা সন্তুষ্ট হইলেন, এবং নেপোলিয়নের অনুরোধে তাহাদিগকে সাহায্য করিবার ইচ্ছায় নেপোলিয়ন ও ইলিজাকে সঙ্গে লইয়া বালিকার অনুবর্ত্তী হইলেন। তাহাদের বাড়ী গিয়া দেখিলেন বালিকার মা শয্যাগতা এবং পাশে কয়েকটী শিশু কাঁদিতেছে, ইলিজা ও তাহার মা যাইয়া তাহাদের শুশ্রূষা করিতে বসিলেন, এবং একটী বড় বালককে কিছুদূরে বসিয়া কাজ করিতে দেখিয়া নেপোলিয়ন তাহারই সহিত বসিয়া কথা কহিতে আরম্ভ করিলেন।

 এই বালকের নাম জাকোপ। ক্রমে ক্রমে নেপোলিয়নের সহিত এই বালকটীর বিলক্ষণ ভাব হইল। নেপোলিয়ন সদাই তাহাদের বাড়ী যাইতেন ও সাধ্যমত তাহাদের সাহায্য করিতেন জাকোপাও তাহার বন্ধুকে প্রাণের সহিত ভালবাসিত ও দেবতার ন্যায় ভক্তি করিত। হায়! তাহাদের এ বন্ধুতার সুখ বেশী দিন রহিল না। দশম বৎসরে পড়িবামাত্রই নেপোলিয়ন জন্মের মত কর্সিকা পরিত্যাগ করিয়া গেলেন, কাজেই তাঁহার বাল্যসখার নিকট বিদায় লইতে হইল। যাইবার সময় নেপোলিয়ন জাকোপাকে স্বনামখোদিত একটী ক্ষুদ্র বাক্স উপহার দিয়া গেলে। জাকোপা তাহা অতি আদরের সহিত গ্রহণ করিল