পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাদুলী করে বেড়ায়, তবু পেট ভরে খেতে পায় না। ওকে তুমি কিছু ধন দাওনা কেন, যাতে ওর দুঃখ ঘোচে ? মহাদেব হেসে বল্পেন—ক্ষেপি । ওর অদৃষ্টে নেষ্ট ধল—আমি ওকে দেব কোখেকে ? দুর্গ বল্পেন—তোমার যেমন কখা ! তুমি যদি ওকে ধন দাও তাহলে নাকি ওর ধন হয় না ! মহাদেৰ বলেন— আচ্ছা দেখবি—তবে স্বাখ ও যে পথে যাচ্ছে সেই পথে আমি একখান সোণার ইট ফেলে রাখছি, ও পায় কি না দ্যাৰ্থ —বলে মহাদেৰ কিছু বে একখান সোণার ইট ফেলে রাখলেন । চলতে চলতে ব্ৰাহ্মণের হঠাৎ কেমন খেয়াল হল,লে মনে মনে ভাৰলে—আমি ভিক্ষে করে এত বছর ধরে রোজ রোজ এই পথ দিয়ে ঘরে ফিরি,—এ পখ আমার এমন অভ্যাস হয়ে গেছে যে বোধ হয় চক্ষু বুজেও ঠিক চলে যেতে পারি। আচ্ছা দেখিই না কেন পারি কি না । বলে ব্রাহ্মণ চক্ষু দুটি বুজে পথ চলতে আরম্ভ করলে । যেখানে সোণার ইট পড়েছিল সেই জায়গাটা চক্ষু বুজেই পার হয়ে গেল—তোদের হয়েছে তাই। হুহাজারের বেশী আমি দিতে পারব না— আমায় কেটে ফেল্পেও না । আচ্ছ। এখন যা, ভাল করে তেবে চিস্তে দেখে—বা হয় ও বেলা জামায় বলিস এখন ।” তাতি ও তাতিনী প্রণাম করিয়া প্রস্থান করিল। বাড়ী গিয়া উীতিনী বলিল—“শুগো দেখ, আমি বলি কি, ভট্টচাব্যি যে দুহাজার টাকা পৰ্য্যন্ত উঠছে ওতেই রাজি হও । বেশী লোভ করতে গিয়ে একুল ওকুল দুকুল ৰাৰে ।” রাইচরণ বলিল—“ঠাকুর ত ৰলে গেছেন পাচহাজার টাকা কমি পাৰ ।” _ “পাচহাজার টাকা ভট্টচাৰি দিতে পারবে কি ? যা পাওয়া যাচ্ছে তাই [" বথেষ্ট । হাতেরটা ছড়িতে নেই।”