পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ミ* গল্পাঞ্জলি —তাতশালা নিৰ্ম্মাণ সম্বন্ধে কি করিবে—তাহাই চিন্তা করিতে লাগিল । এইরূপে সপ্তাহ অতীত হইল । সে দিন সন্ধ্যার পর রোয়াকের উপর বসিয়া রাইচরণ ধূমপান করিতেছিল, এমন সময় একজন ভদ্রবেশধারী যুবক উঠানে আসিয়া দাড়াইয়। ৰলিল—“বলে মাতরম্ ।” তাহার অঙ্গে কামিজের উপর ছিটের কোট, গলায় ময়লা রেশমী চাদর, পরিধানে মোট ধূতি, পায়ে কানপুরের বুটজুতা । রাইচরণের হুকার ডাক বন্ধ হইয়া গেল। অবাকু হইয়া সে আগন্তুকের প্রতি চাহিয়া রহিল । যুৰক ৰলিল—“কি ৰন্ধু, চিনতে পারলে না ? পাচহাজার টাকা পাইয়ে দিলাম, এরি মধ্যে ভুলে গেলে ?” গলার স্বর চিনিয়া রাইচরণ ৰলিল—“কে, সন্ন্যাসী ঠাকুর ?” যুবক হাসিয়া বলিল—“হ্যা, সে দিন সন্ন্যাসী ঠাকুরই ছিলাম বটে— আজি ইয়ংবেঙ্গল । বখন যেমন তখন তেমন ।” রাইচরণ বিস্ময়ে দিশাহারা হইয়া বলিল—“আহন আসুন উপরে আস্থন । বসতে আঙ্কে হোক।” যুবক ৰসিলে রাইচরণ জিজ্ঞাসা করিল--"বাবার আজ এ বেশ কেন ?” যুৰৰ ৰলিল—”এই আমার সাধারণ প্রতিদিনকার বেশ । সেবার গ্রামে গ্রামে স্বদেশী মন্ত্র প্রচার করতে ৰেরিয়েছিলাম—তাই সন্ন্যাসীর ৰেশে এসেছিলাম ।** _ৱাইচরণ কথাটা ভাল বুঝিতে পারিল না। সংশয়ের সহিত ৰলিল— “আজ কি মনে করে আগমন ?” “আজ দেখতে এসেছি তুমি ভট্চার্য্যি বুড়োর টাকাগুলো নিয়ে কি করছ। এখনও ত তাত টাত কিছুই বসাতে আরম্ভ করনি /