পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসময়ীর রসিকত প্রথম পরিচ্ছেদ ক্ষেত্রমোহন বাবুর অষ্টাদশবর্ষব্যাপী দাম্পতাজীৰন স্ত্রীর সঠিত সন্ধবিগ্রহ ও সন্ধি করিতে করিতেই কাটিয়াছে। এমন রণরঙ্গিণী স্ত্রী বঙ্গদেশে প্রায়ই দেখা যায় না । ক্ষেত্ৰমোচনের বয়স এখন চল্লিশ বৎসর। স্ত্রী রসময়ীর বয়স ত্ৰিশ । 'রসময়া’ –এ নাম যে রাখিয়াছিল বলিহারি তাহার প্রতিভা তৰে রস ও ত অনেকগুলি আছে কিনা—এ ক্ষেত্রে রৌদ্ররস। ক্ষেত্ৰমোচন একজন বাঙ্গলানবীস, মোক্তার—হুগলীতে থাকিয়া · বেশ দুই পয়সা উপার্জন করেন । বাড়ী তাহার হুগলীতে নহে--জলার মধো কোন ও এক পল্লীগ্রামে। তবে কয়েক বৎসর হইল হুগলীতে নিজ বাট নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করিতেছেন। থের বিষয় এ পর্যন্ত ক্ষেত্রমোহনের সন্তানাদি কিছুই হয় নাই— স্ত্রীর ষেরূপ বয়স, আর হইবার ভরসাও নাই। অনেকদিন হইতে তাহার মাস পিলী প্রভৃতি পুনৰ্ব্বার বিবাহ করিবার জন্য তাঁহাকে অনুরোধ করিতেছেন। ক্ষেত্রমোহনের আন্তরিক বাসনাও তাছাই । কিন্তু রসময়ীর ভয়ে এ পর্য্যন্ত এ বিষয়ে কোনরূপ চেষ্টা চরিত্র করিতে সাহস করেন নাই । ■ ইতিমধ্যে সামান্ত একটা ঘটনা উপলক্ষ্যে রসময়ী ভয়ানক বিপ্লবের Aথষ্ট করিয়া ক্ষেত্রমোহনকে দুই দিন গৃহছাড়া করিল। অবশেষে নিজে তাহার পিত্রালয় হালিসহরে চলিয়া গেল। ক্ষেত্রমোহন তখন সাহসে