পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসময়ীর রসিকতা ని{t জড়িত স্বরে ক্ষেত্রমোহন বলিলেন—“আজ্ঞে ছ্যা P “কোথাকার চিঠি ?” “তাই ত ভাবছি।” ক্ষেত্রমোহনের মুখভাব এবং কণ্ঠস্বরের বিকৃতি লক্ষ্য করিয়া খুড়া মহাশয় উঠিয়া নিকটে আসিলেন । তখন ক্ষেত্রমোহন পত্ৰখানি দ্বিতীয়বার পাঠ করিতেছেন। তাহার নিশ্বাস বন্ধ হইবার উপক্রম চইয়াছে, চক্ষু কপালে উঠিয়াছে । খুড়া মহাশয় দ্রুতভাবে বলিলেন—“কি ? ব্যাপার কি ? কোনও দুঃসংবাদ নয় ত ?” ক্ষেত্রমোহন বাৰু নীরবে পত্ৰখানি খুড়া মহাশয়ের হাতে দিলেন । তিনি পত্র লইয়া, চশমা অনুসন্ধান করিয়া চক্ষে পরিলেন । জানালার কাছে দাড়াইয়া খুড়া মহাশয় পত্ৰখানি পড়িতে লাগিলেন। সাধারণ পাতলা চিঠির কাগজে বেগুনী রঙের ম্যাজেণ্ট কালী দিয়া লেখা— উপরে স্থানের নাম নাই, তারিখ নাই—নিম্ন প্রকার মত লিখিত – শ্ৰীশ্ৰী দুর্গ স্বহায় প্রণামপুকবক নীবেদনঞ্চ বিসেস— তোমার মোভিশছন্ত ধরিআছে। মোনে করিআছ, রসমই মরিআছে আপোদ গিআছে এইবার বিবাহ করি। আমি মরিঅাছি বটে কিন্তু তাই বলিয়া তুমি নিস্কৃতি পাইআছ তাহ মোনেও করিও না । ৰাড়ির সনমুখে জে বড় বটগাচ আছে তাইতে আমি আজ কাল বাস করিতেছি । •তুমি কি কর কোতায় যাও সমস্থই আমি সেখানে বসিয়া দেখি তেছি। রাত্তিরে গাচ হইতে নামিয়া মাজে মাজে তোমার সয়ন ঘরে যাই। তোমার