পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসময়ীর রসিকতা ১৩৭ উপদ্রবের কথা শুনেছি বটে—কিন্তু—এরকমটা—কখনও ত শোনা যায় নি। আচ্ছ,—বউমার হাতের লেখা আগেকার চিঠিপত্র কিছু আছে কি ? লেখাটা মিলিয়ে দেখলে হয় ।” ক্ষেত্রমোহন বলিলেন—“পুরাণে চিঠি আছে বৈ কি ”—বলিয়া বাটীর মধ্যে প্রবেশ করিয়া চারি পাচখানা বাহির করিয়া আনিলেন । খুড়া মহাশয় চশমার কাচ দুইখানি কোচার কাপড়ে ভাল করিয়া মার্জনা করিয়া লইলেন। পরে পত্রগুলি লইয়া অত্যন্ত সাবধানে হস্তাক্ষর মিলাইতে লাগিলেন। অবশেষে সেগুলি টেবিলের উপর ফেলিয়া, দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিলেন—“একই হাতের লেখা ত দেখছি।” থামখানা উণ্টিয়া পাণ্টিয়া দেখিতে লাগিলেন। এক পয়সার ছয়খানাওয়ালা সাধারণ শাদ খাম । তাহাতে একখানি দুইপয়সার টিকিট অ্যাট আছে। ক্ষেত্রমোহনের হাতে খামখানি দিয়া বলিলেন—“কোথাকার ছাপ দেখ ত ?” ক্ষেত্র বাবু বাঙ্গলানবীশ মোক্তার হইলেও ইংরাজি ছাপার অক্ষর পড়িতে পারিতেন । ছাপ পরীক্ষা করিয়া বলিলেন—“হুগলির ছাপ । কালকের তারিখ ।” খুড়ামহাশয় চুপ করিয়া বসিয়া রছিলেন। মাঝে মাঝে কেবল অন্মুটশ্বরে বলিতে লাগিলেন—“জয় রাম—শ্রীরাম-সীতারাম।” কাছারির বেলা হয় দেখিয়া মোক্তার বাবু স্নানু করিয়া আহারে বসিলেন–কিন্তু কিছুই খাইতে পারিলেন না। রান্নাঘরের বারান্দায় যেখানে বসিয়া তিনি আহার করিতেছিলেন, সেখান হইতে বটগাছটার অগ্রভাগ দেখা যায়। থান আর মাঝে মাঝে সেই গাছটার পানে চাহেন। একসময় গাছের একটা ডাল খড় খড় করিয়া নড়িয়া উঠিল । কাহার ৰেন হাসিরও শৰ শুনা গেল। ক্ষেত্রমোহন বাবুর আর খাওয়া