পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8や2 গল্পাঞ্জলি সপ্তম পরিচ্ছেদ খুড়া মহাশয় কোথায় বেড়াইতে গিয়াছিলেন। সন্ধ্যার পর বাড়ী ফিরিয়া আসিয়া, দ্বিতীয় পত্রের কথা শুনিয়া বলিলেন—“দেখ ক্ষেত্তর— ব্যাপারটা ক্রমেই গুরুতর হয়ে দাড়াল । বিবাহট এখন না হয় বন্ধই রাখা ষাকৃ। আমার মতে, বৎসর পূর্ণ হলেই, গয়ায় গিয়ে একটা পিণ্ড দিয়ে এস, উদ্ধার হয়ে যাবেন । বৎসর পূর্ণ হতে ত আর বেশী দেরী নেই —আর মাসখানেক হলেই হয়। তখন নিৰ্ব্বিঘ্নে শুভকৰ্ম্ম শেষ করা যাবে।” ক্ষেত্র বাবু বলিলেন—“ত বেশ—সেই ভাল কথা ।” কন্যার পিতাকে বলিয়া কহিয়া বিবাহের দিন পিছাইয়া দেওয় হইল। নিমন্ত্রণ পত্র সমস্ত প্রত্যাহৃত হইল। গয়া-শ্ৰাদ্ধ সারিয়া আসিয়া ক্ষেত্র বাবু বিবাহ করিবেন ইহা সকলেই জানিতে পারিল। ক্ষেত্র বাবুর হস্তে একটা বড় জালিয়াতির মোকৰ্দমার তদ্বিরের ভার রহিয়াছে। মোকৰ্দমাট দায়রা-সোপর্দ হইয়াছে। সেটা শেষ না হইলে ক্ষেত্র বাবু গয়া যাইতে পারিতেছেন না । ফরিয়াদি পক্ষের সাক্ষীদিগকে সমস্ত দিন ধরিয়া তালিম দিতে হইতেছে । মোকৰ্দমার পূৰ্ব্বদিন সন্ধ্যাবেলা কাছারি হইতে ফিরিবার সময়, “রসময়ী”র তৃতীয় পত্র ক্ষেত্রবাবুর হস্তগত হইল। তাহাতে অন্তান্ত কথার সঙ্গে লেখা আছে— “জুনিলাম না কি গয়ায় আমার পিণ্ডি দিতে যাইতেছ। ভাবি আছ বুঝি পিণ্ডি দিলে আমি উধার হইয়া যাইব তকন সচন্দে বিবাহ করিবে । গয়ায় যদি যাও তবে চোরের বেস ধরিয়া রেলগাড়িতে প্রবেশ করিয়ু তোমার বুকে ছোরা বসাইয়া দিব।”