পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆԵg গল্পাঞ্জলি ভৃত্য বলিল—“আজ্ঞে না । দেওয়ানজিকে গিয়ে চিঠি দিলাম। তিনি চিঠি নিয়ে মহারাজের কাছে গেলেন। খানিক বাদে ফিরে এসে বলেন, বিয়ের নেমস্তন্ন হয়েছে তার জন্তে হাতী কেন ? গোরুর গাড়ীতে যেতে বোলো ।” এই কথা শুনিবামাত্র জয়রাম ক্ষোভে, লজ্জায়, রোষে যেন একবারে ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠিলেন। তাহার হাত পা ঠক্ ঠক্‌ করিয়া কঁাপিতে লাগিল। দুই চক্ষু দিয়া যেন রক্ত ফাটিয়া পড়িতে লাগিল। মুখমণ্ডলের শিরা-উপশিরাগুলি স্ফীত হইয়-উঠিল। কম্পিতস্বরে, ঘাড় বাকাইয় বারংবার বলিতে লাগিলেন—“হাতী দিলে না! হাতী দিলে না ।” সমবেত ভদ্রলোকগণ ক্রীড়া বন্ধ করিয়fহাত গুটাইয়া ৰসিলেন। কেহ কেহ বলিলেন—“তার আর কি করবেন মুখুয্যে মশায়! পরের জিনিস, জোর ত নেই। একখানা ভাল দেখে গোরুর গাড়ী ভাড়া করে নিয়ে, রাত্রি দশটা এগারটার সময় বেরিয়ে পড়ন, ঠিক সময় পৌছে যাবেন। ঐ ইমামজি শেখ একযোড়া নুতন বলদ কিনে এনেছে—খুব দ্রুত যায়।” জয়রাম বক্তার দিকে দৃষ্টিমাত্র না করিয়া বলিলেন—“না। গোরুর গাড়ীতে চড়ে আমি যাব না। যদি হাতী চড়ে যেতে পারি, তবেই যাব, নৈলে এ বিবাহে আমার যাওয়াই হবে না ।” তৃতীয় পরিচ্ছেদ সহর হইতে দুই তিন ক্রোশের মধ্যে দুই তিন জন জমিদারের হস্তী ছিল। সেই রাত্রেই জয়রাম তত্ত্বৎ স্থানে লোক পাঠাইয়া দিলেন, যদি কেহ হস্তী ৰিক্ৰয় করে, তবে কিনিবেন । রাত্রি দুই প্রহরের সময় ও