পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পাঞ্জলি من ميانج রঞ্জিত করিয়া দিলেন। ঘন ঘন শঙ্খধ্বনি হইতে লাগিল। আবার দাড়াইয়া উঠিলে, একটা ধামায় ভরিয়া আলোচাল, কলা ও অন্তান্ত মাঙ্গল্যদ্রব্য তাহার সম্মুখে রক্ষিত হইল–গুড় দিয়া তুলিয়া তুলিয়া কতক সে থাইল, অধিকাংশই ছিটাইয়া দিল। এইরূপে বরণ সম্পন্ন হইলে, রাজহস্তীর জন্ত পরিষ্কৃত সেই স্থানে লইয়া গিয় তাহাকে বাধা হইল। রাজহস্তীর জন্ত সংগৃহীত সেই কদলীকাণ্ড ও বৃক্ষশাখা আদরিণী ভোজন করিতে লাগিল । নিমন্ত্রণ রক্ষা করিয়া পীরগঞ্জ হইতে ফিরিবার পরদিন বিকালেই মহারাজ নরেশচন্দ্রের সহিত মুখোপাধ্যায় মহাশয় সাক্ষাৎ করিতে গেলেন। বলা বাহুল্য, হস্তিপৃষ্ঠে আরোহণ করিয়াই গেলেন। মহারাজের দ্বিতল বৈঠকখানার নিম্নে বিস্তৃত প্রাঙ্গণ ৷ প্রাঙ্গণের অপরপ্রান্তে প্রবেশের সিংহদ্বার । বৈঠকখানায় বসিয়া সমস্ত প্রাঙ্গণ ও সিংহদ্বারের বাহিরেও অনেক দূর অবধি মহারাজের দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে । রাজসমীপে উপনীত হইলে মুখোপাধ্যায় মহাশয় তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া আসন গ্রহণ করিলেন । মোকৰ্দমা ও বিষয়-সংক্রান্ত দুই চারি কথার পর মহারাজ জিজ্ঞাসা করিলেন—“মুখুয্যে মশায়, ও হাতীটি কার ?” মুখুর্য্যে মহাশয় বিনীতভাবে বলিলেন—“আজ্ঞে, হুজুর ৰাহাছরেরই छ्ॉर्डौ ।” মহারাজ বিস্মিত হইয়া বলিলেন—“আমার হাতী ! কৈ, ও হাতী ত কোনও দিন আঁমি দেখিনি। কোথা থেকে এল ?” -