পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদরিণী పిటాసి তিন দিন যাবৎ মোকৰ্দমা চলিল। অবশেষে মোক্তার মহাশয় উঠিয়া “জজসাহেব বাহাদুর ও এসেসার মহোদয়গণ” বলিয়া বক্তৃত৷ আরম্ভ করিলেন। বক্তৃতাশেষে এসেসারগণ মুখোপাধ্যায়ের মক্কেলকে নির্দোষ সাব্যস্ত করিলেন–জজ সাহেবও তাহদের অভিমত স্বীকার করিয়া আসামীকে অব্যাহতি দিলেন । জজ সাহেবকে সেলাম করিয়া, মোক্তার মহাশয় নিজ কাগজপত্র ৰাধিতেছেন, এমন সময় জজ সাঙ্গেব পেস্কারকে জিজ্ঞাসা করিলেন— “এ উকীলটির নাম কি ?” পেস্কার বলিল—“উহার নাম জয়রাম মুখার্জি। উনি উকীল নছেন, মোক্তার ” প্রসন্নহাস্তের সহিত জজলাহেব জয়রামের প্রতি চাহিয়া বলিলেন— “আপনি মোক্তার ?” জয়রাম বলিলেন—“হী হুজুর, আপনার তাবেদার।” জজ সাহেব পুৰ্ব্ববৎ বলিলেন—“আপনি মোক্তার! আমি মনে করিয়াছিলাম, আপনি উকীল । যেরূপ দক্ষতার সহিত আপনি মোকৰ্দমা চালাইয়াছেন, আমি ভাবিয়াছিলাম আপনি এখানকার এক জন ভাল ऐंठेरुंौढ ।* এই কথাগুলি শুনিয়া মুখোপাধ্যায়ের সেই ডাগর চক্ষু দুইটি জলে পূর্ণ হইয়া গেল। হাত দুটি যোড় করিয়া কম্পিতকণ্ঠে বলিলেন— “না হুজুর, আমি উকীল নহি—আমি একজন মোক্তারমাত্র। তাও সেকালের শিথিল নিয়মের একজন মুর্থ মোক্তার। আমি ইংরাজি জানি না হুজুর । আপনি আজ আমার যে প্রশংসা করিলেন, আমি জীবনের শেষ দিন অবধি তাহ ভুলিতে পারিব লু। এই বুড়া ৰgণ আশীৰ্ব্বাদ করিতেছে, হুজুর হাইকোর্টের জজ হউন৷”—