পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদরিণী $సిat প্রতিবেশী বন্ধুগণ আৰার বৈঠকখানায় সমবেত হইলেন। অত ৰক্ত মেলায় এমন ভাল হাতীর খরিদার কেন জুটিল না, তাঙ্গ লইয়া আলোচনা হইতে লাগিল। এক জন বলিলেন—“ঐ যে যাবার সময় মুখুয্যে মশার বল্পেন—‘অাদর, যাও মা, মেলা দেখে এস”—তাই বিক্রী হল না । উনি ত আর আজকালকার মুর্গাখোর ব্রাহ্মণ নন—ওঁর মুখ দিয়ে যে ব্ৰহ্মবাক্য বেরিয়েছে, সে কথা কি নিষ্ফল হবার যে আছে ? কথায় বলে—বক্ষবাক্য বেদ-বাক্য ।” বামুনহাটের মেলা ভাঙ্গিয়া, সেখান হইতে আরও দশ ক্রোশ উত্তরে রক্ষলগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী আর এক মেলা হয়। যে সকল গো-মহিষাদি বামুনহাটে বিক্রয় হয় না—সে সব রসুলগঞ্জে গিয়া জমে । সেইখানেই আদরিণীকে পাঠাইবার পরামর্শ হইল । আজ আবার আদরিণী মেলায় যাইবে । আজ আর বৃদ্ধ তাহার কাছে গিয়া বিদায় সম্ভাষণ করিতে পারিলেন না। রীতিমত আহারাদির পর আদরিণী বাহির হইয়া গেল । কল্যাণী আসিয়া ৰলিল,—“দাদা মশায়, আদর যাবার সময় কাদছিল।” মুখোপাধ্যায় গুইয়া ছিলেন, উঠিয়া ৰসিলেন। বলিলেন—“কি ৰঙ্গি ? কাদছিল ?” “হ্যা দাদা মশায়। যাবার সময় তার চোখ দিয়ে টপূ টপ করে জল পড়ছিল ।”—বলিতে বলিতে কল্যাণীর চক্ষু দিয়াও ঝর ঝর করিয়া জল পড়িতে লাগিল । বৃদ্ধ আবার ভূমিতে পড়িয়া দীর্ঘনিঃশ্বাসের সহিত বলিতে লাগিলেন— “জানতে পেরেছে ! ওরা অন্তৰ্য্যামী কি না ! এ ৰাড়ীতে যে আর ফিরে আসবে না, তা জানতে পেরেছে।” নাতিনী চলিয়া গেলে বৃদ্ধ সাশ্রনয়নে আপন মনে বলিতে লাগিলেন—