পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পাঞ্জলি טאי: রক্তধারা ঝরিতেছে—নলিনীর বুকের মধ্যের সদ্য রক্ত । বিপিলবাবু আবার বাগানের দিকে দৃষ্টি বদ্ধ করিলেন । নলিনী তখন উঠিয়া দাড়াইল । পুৰ্ব্বাপেক্ষ নিম্নস্বরে বলিল—“তবে বিদায় হই । মিছে তোমার সময় নষ্ট করছি ।” বিপিনবাবু কোমল ভাবে বলিলেন,—“বস।” নলিনী বসিয়া উদাসদষ্টতে বিপিনবাবুর পানে চাহিয়া রহিল। বিপিনবাবু বলিলেন—“একটু চ মানব ? খাবে ?” “না থাক্‌ ৷” দেরাজ হইতে এ কটা চুরট বাঙ্গির করিয়া বলিলেন—“একটা পা ও ন৷ ” “তুমি খাও।” চুরট রাখিয়া, প্রথমে ধীর পরে উত্তেজনার স্বরে বিপিনবাবু বলিতে লাগিলেন—“একটু আগে তোমায় যা বলেছি, বন্ধুত্বের খাতিরে আমার ছেলে পিলের প্রতি আমি অবিচার করতে পারব না—সে মত আমার বদলায়নি। তবে, আমি তোমার সমস্তা যে বুঝতে পারছিনে, তাও নয় । পৈতৃক ভিটেতে কম্বল মুড়ি দিয়ে গুয়ে অনশনে প্রাণতাগ, ও সব নাটুকে নভেলি কথা ছেড়ে দাও । এখন স্ত্রীপুরুষের ভরণপোষণের জন্তে তোমায় জীবিকার সন্ধানে বেরুতে হবে । মনে নেই ? ছেলেবেলা ইস্কুলে আমর: পড়তাম—উদ্যোগিনং পুরুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মীঃ—উদ্যোগী পুরুষসিংহ, লক্ষ্মীকে প্রাপ্ত হয় । না খেতে পেয়ে মরে যাব, আমার ছেলেমেয়ে মরে যাবে, এ সব কি কথা ? তুমি পুরুষমানুষ—এ কি পুরুষের কথা ? এ স্ত্রীলোকের কাঢ়নি। মনকে দৃঢ় কর—কোমর বেঁধে দাড়াও । এই কলকাতা সহরে দশলক্ষ লোকের আঙ্গার জুটছে—তোমার জুটবে না ? উদ্যোগী হও—কখনই তোমার স্ত্রী পুত্রকে অনাহারে মরতে হবে না ।”