পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo গল্পাঞ্জলি অ শ্রসিক্তস্বরে নলিনী বলিল-—“না ।” ক্রমে হেমাঙ্গিনীকে সকল কথাষ্ট সে খুলিয়া বলিল । নলিনীর কথা শেষ হইলে মুহূৰ্ত্তমাত্র চিন্তা করিয়া, হেমাঙ্গিনী বলিল— “তুমি কি স্থির করেছ ?” m “আমি কিছুই স্থির করতে পারিনি । কদিন থেকে ক্রমাগত ভাবছি, ভেবে ত কিছুই কুলকিনারা পাচ্ছিনে । তুমি কি বল ?” হেমাঙ্গিনী স্বামীর কেশের মধ্যে সাদরে অঙ্গুলিসঞ্চালন করিতে করিতে বলিতে লাগিল—“আমি তোমার সহধৰ্ম্মিণী । যতক্ষণ দেহে আমার প্রাণ থাকবে, আমি তোমায় ধৰ্ম্মপথে থাকতেই পরামর্শ দেব—অধৰ্ম্মপথে যেতে কখনই বলব না । দেখ, অনেক কষ্টে তুমি সামলে উঠেছ। প্রতিজ্ঞ একবার যদি ভঙ্গ কর----আর নিজেকে বেঁধে রাখতে পারবে না ।” নলিনী বলিল—“তা কি আমি জানিনে ? তা খুবই জানি। আমার মন যে কত দুৰ্ব্বল, তা আমিই জানি। কিন্তু আমি কেবল তোমাদেরই কথা ভাবছি । আমি যদি এক হতাম—অবিবাহিত হতাম—তা হলে এক মুহূৰ্ত্তের জন্যেও কোনও দ্বিধা আমার মনে স্থান পেত না—বলতাম, চাকরি গেল গেলই—আবার অন্ত কোন ও উপায় হবে । কিন্তু তোমাদেরই 奪な要一ー" ভুল বলিতেছ নলিনী—ভুল বলিতেছ। যদি অবিবাহিত থাকিতে, তবে, কোন কালে তুমি রসাতলে পৌছিয়া বাইতে । তুমি ষে প্রতিজ্ঞা. করিয়াছিলে, তাত কাহাদের মুখ দেখিয় ? হেমাঙ্গিনী বলিল—“তুমি কিছু ভেব না । সে উপায় ভগবান করবেন । তোমার কাব তুমি কর—তুমি ধৰ্ম্মপথে থাক—র্তার কৰি তিনি করবেন ।” “তোমার মনে কিছু ভাবনা হচ্ছেন ?”