পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిE . গল্প-গ্রন্থাবলী - नरब्रन बाजन, “किन्छू भा, अग्नि ठ बरलाइ-” नद्टारक वाथा निम्ना अमनौ यलिट्लन, “छूञि था वालछ, ७ा *आधि श्वकर्माछ । छूमि বলেছ, বিবাহগণ-নিবারণী সভার তুমি একজন মন্ত পাণ্ডা, তুমি পণ নিয়ে বিবাহ করলে সমাজে আর তুমি মুখ দেখাতে পারবে না। সে সবই আমি বঝি । কিন্তু এদিকে যিনি তোমার জন্মদাতা, মহাগরে-যিনি এত কষ্ট করে আপনি না খেরে তোমায় খাইয়ে, তোমায় এত বড়টা করে তুলেছেন, নিজের গায়ের রক্ত জল ক’রে তোমায় মানুষ করছেন, তিনি যে দেনার দায়ে জেলে যান । উনি জেলে গেলে সমাজে কি তোমার মানসম্প্রম বাড়বে, বাবা ?” ● সরেন কিয়ৎক্ষণ নতমস্তকে বসিয়া কি চিন্তা করিল। তাহার পর মুখ তুলিয়া বলিল, “আর কি কোনও উপায় নেই, মা ?” মা বলিলেন, “আর কোনও উপায় নেই। কমলার বিয়ের পর আমার যে ক’খানা গহনা বাকী ছিল, সরলার বিয়ের সময় সে সবই গেছে, তা ত তুমি জান। হাতে এই যে দলগাছি রালি দেখছ, এই সার। কোথাও নিমন্ত্রণ আমন্ত্রণে যেতে হলে আমার যেন মাথা কাটা যায়—একজন উকীলের পরিবার, তার এই দুরবস্থা । কিন্তু সে কথা যাক। সম্মবলের মধ্যে এই বাড়ীখানি। তা পাড়াগাঁয়ে এ পরানো বাড়ী, এ বেচলে হাজার টাকা পাওয়া যায় ত ঢের। আর এই থালা, ঘাঁট-বাটি—লেপ কথা বিছানা—এ সব বিক্ৰী করলেই বা আর কত হবে ?” বলিতে বলিতে গহিণীর নেত্রযুগল সজল হইল, কন্ঠস্বর ভারি হইয়া উঠিল। সরেন বলিল, “তা বলছিনে। আর কোথাও যদি ধার পাওয়া যায়—” “কে আর ধার দেবে, বাবা ? কি বিষয়-সম্পত্তি আছে যে, তাই দেখে ধার দেবে ? —বিশেষ, মহাজন যে হবে, সে এটা জানতেই পারবে যে, আব এক মহাজনের কাছে টাকা ধার নিয়ে, ৪৫ বছরের মধ্যে তার একটি পয়সাও শোধ কবতে পাবেন : নালিশেব ভয় দেখাচ্ছে বলে, তাদের দেবাব জন্যেই এই টাকা ধার করা হচ্ছে।” সরেন নীরবে বসিয়া রহিল। কিয়ৎক্ষণ পরে মা বলিলেন, "স পত্রের যা কত্তব্য, তাই তুমি কর, বাবা। পিতাকে সত্য থেকে মুক্ত করবার জন্যে রামচন্দ্র বনে গিয়েছিলেন, তুমি তোমার পিতাকে জেল থেকে মুক্ত করবার জন্যে বিয়ে করবে, এটা কি একটা বড় কথা হ’ল ? মেয়েটি আমি দেখেছি; খাসা, ঘর আলোকরা মেযে। সদ্বংশ, সকল রকমেই উপযুক্ত কুটবে। লোকে যেমনটি চায়, এও তেমনটি। আর অমত কোরো না বাবা, রাজি হও, এই বোশেখ মাস পড়তেই শুভ কাৰ্য্যটি হয়ে যাক।” * একটা দীঘ-নিঃশ্বাস ফেলিয়া, “আচ্ছা মা, ভেবে চিন্তে দেখি” বলিয়া সরেন উঠিয়া গেল । ঘণ্টাখানেক পরে, শ্যামাচরণবাব অতঃপৰে আসিয়া সীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি বললে খোকা ?” t পত্রের সঙ্গে কথাবাত্ত যাহা হইয়াছিল, গহিণী সে সমস্তই বিবত করিলেন। শনিয়া কত্তা বুলিলেন, “বোধ হয় মন গলেছে : রাজি হবে! কি বল ?” গণিী বললেন, “মা সর্বচনী, মা মঙ্গলচণ্ডী তাই করন। আমি তোমাদের পজো দেবো মা ছেলেকে আমার সন্মতি দাও।” সন্ধ্যাবেলায় কত্তা জিজ্ঞাসা করলেন, “খোকা কিছু বলেছে ?” গহিণী উত্তর করিলেন, “ন, এখনও কিছ বলেনি। কাল কলকাতায় ফেরবার আগে বলে স্বাবে বোধ হয় ।” সোমবার প্রাতে গহিণী পত্রকে দেখিতে না পাইয়া, তাহার অনুসন্ধানে গিয়া, শয্যার উপর একখানি পর পাইলেন। কল্পিত হস্তে সেখানি খলিয়া পাঠ করিলেন—