পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$ty ० भक्त्र-♚न्थाबलौ। BBBBB BBB D DD DDDSDDD BBD DDD BDSDDDDD DBB DD হইবে, সে, বাহকে বলে, একটা মখচোরা’। সকল প্রসঙ্গে সকলের সঙ্গে ফর ফর করিয়া কথা বলা তাহার মোটেই আসে না। ইহাও একটা কারণ বটে;--দ্বিতীয় কারণ, এখানে তাহার কোনও সহায় ছিল না—তাই পরেশ পশার জমাইতে পারিল না। পশার চলায় যাউক, মাসে মাসে মাসিক বাসা-খরচটা উপজিন করাও তাহার পক্ষে কঠিন হইয়া দাঁড়াইল। সামান্য যাহা পজি ছিল, তাহা দেখিতে দেখিতে ফরাইয়া গেল। তার পর বিধবা জননীর সামান্য সঞ্চয়ে হাত পড়িল। তার পর সন্ত্রীর অলঙ্কারেও হাত পড়িতে আরম্ভ হইয়াছে। এইভাবে, বছর দুই কাটিয়া গিয়াছে। বছরখানেক ক্লার লাইব্রেরীতে ধরণা দিবার পর হইতেই, ওকালতী ব্যবসার প্রতি পরেশের বাণা ধরিয়া গিয়াছিল; ইহাও সে বিলক্ষণ বুঝিতে পারিয়াছিল যে, তাহার প্রকৃতির মানুষের, এ ব্যবসায়ে কোনও দিনই কোনও সুবিধা হুইবে না। তাই সে একটা চাকরির সন্ধান করিতেছিল। বিজ্ঞাপন দেখিয়া নানা স্থানে দরখাস্ত করিয়াছিল, কিন্তু এ পবৰ্যন্ত কোনও ফল দশো নাই। পরেশের ওকালতী জীবন দই বৎসর প্ণ হইবার পর, একদিন সংবাদপত্রে সে এক বিজ্ঞাপন দেখিল, কলিকাতাস্থ কোনও সম্প্রান্ত ও পদস্থ ব্যক্তির পত্রগণকে পড়াইবার জন্য একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিধারী সচ্চরিত্র গহশিক্ষকের প্রয়োজন, মাসিক বেতন ৫o, মাত্র কিন্তু বাসা-খরচ লাগিবে না। প্রথম দশনে, এ বিজ্ঞাপন পরেশনাথের নিকট তেমন লোভনীয় মনে হইল না। এম-এ, বি-এল পাশ করিয়া শেষে ছি ছি, ৫o, টাকা বেতনের গহশিক্ষক ? তাও কোনও করদ রাজা মহারাজার গহেও নয়,—একজন সম্প্রান্ত ও পদস্থ ভদ্রলোকের গহে!—কিন্তু পরদিন সাত পাঁচ ভাবিয়া, সে একখানা দরখাস্ত ঝাড়িয়াই দিল। ভাবিল—“হবে না সে ত জানাই আছে। কত দরখাস্ত ত করা গেল, হ’ল কি কোনওটা ? যাক, দেখাই স্বাক না, দটো পয়সা বইত নয় ।" (ইহা ডাকমাশলে বন্ধির পর্বের ঘটনা) এ দরখাতের কিন্তু জবাব আসিল। "হইল” ঠিক বলা যায় না, “হইলেও হইতে পারে” –ভবানীপুরের ঠিকানা দিয়া রায় বাহাদর খেতাবধারী এক ভদ্রলোক চিঠি লিখিয়াছেন,-“আপনার সহিত সাক্ষাতে কথাবাত্তা কাঁহতে ইচ্ছা করি। আপনি আসিয়া আমার সহিত আগামী শক্রবার বেলা দশটার মধ্যে দেখা করন। যদি আপনি মনোনীত না হন, তবে আপনার যাতায়াতের ইন্টার ক্লাসের ভাড়া আমি দিব।" এ পত্র পড়িয়া পরেশ চটিয়া গেল। সে আপন মনে বলিতে লাগিল, “হ্যাঃ–ভারি ত চাকরি তাও আবার জাঁকড়ে । রায় বাহাদর হাদয়নাথ চাটাজি কে হে তুমি সম্প্রান্ত ও পদস্থ ব্যক্তি ? তোমার নামও ত কখনও শুনিনি জীবনে। ভেবেছিলাম হয়ত বা রবীন্দ্র ঠাকুর, কি জগদীশ বোস কি প্রদোৎকুমার, কি দীঘাপাতিয়া —এই রকম কেউ একজন নামজাদা লোকের বিজ্ঞাপন। তা নয, হাদয়নাথ চাটাজি । ঘোড়ার ডিম স্বাবে ।” পরদিন ডাকে পরেশ তার স্তীর নিকট হইতে একখানি পত্র পাইল। সে লিখিয়াছে, জমিদারের গোমস্তা খাজনার জন্য বড়ই বিরক্ত করিতেছে: খোকার গোযালাব দধের দামও তিন মাসের বাকী, সে বলিয়াছে অন্তত এক মাসের টাকা শোধ না করিলে সে দুধে বন্ধ করিবে—অতএব গোটা কুড়ি টাকা না হইলেই চলে না ইত্যাদি। এই পত্র পড়িয়া পরেশের মনটা খারাপ হইয়া গেল। ভাবিজ্ঞা, দরে হোক, ছাই— এ রকম করে আর কতদিন চলবে -ৈঅত মান অপমানের হিসেব করতে গেলে চলে না —যাই, মহা সম্প্রান্ত ও মহাপদস্থ সেই অজ্ঞাতনামা রায় বাহাদরের তাঁবেদারীই কারগে । হলে গেলে পঞ্চাশটে টাকা পাব ত? বাসা-খরচ লাগবে না, নিজের কাপড় জমতো—সে