পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

హిd8 গল্প-গ্রন্থাবলী অবিনাশের কাব্যও তৎপশ্চাবেই শেষ হইবে। উপন্যাস কলেজে গিয়া পত্নীকে লইয়া সে ট্রামে বাড়ী ফিরিবে। *. * ছুটির পর রাস্তায় বাহির হইয়া সষমা স্বামীকে বলিল, “ওগো দেখ, বলেছিল যে পঞ্চাশ জন পৰ্য্যন্ত ছাত্রী নেওয়া হবে-তা নয়, আমি নিয়ে মোটে সাতাশটি মেয়ে ত দেখলাম—আর সবাই কোথায় গেল ?” অবিনাশ বলিল, “আজ ত মোটে প্রথম কিনা। যারা ভত্তি হয়েছে, সবাই বোধ হয় আজ আসেনি। ক্লমে ক্লমে সব আসবে বোধ হয় ।” ট্রামে উঠিয়া, দুজনে বেশী কথাবাত্ত হইল না। বাড়ী আসিয়া বঙ্গাদি পরিবত্তনের नव्र, 5ा थाझेष्ठ बनैिग्ना उर्भावनाथ छिछाना कब्रिव्ण, “आछ कि कि श्ल बर्फे ?” “আমরা সবাই ক্লাসে বসলাম। তার পর ঘণ্টা বাজলো, বর্ণনা শিক্ষার প্রোফেসার নপেন সোম এলেন। বোডের গায়ে একখানা মস্ত ছবি টাঙ্গিয়ে দিলেন। বড় বড় চলে, বড় বড় দাড়ি এক মিন্সে; চোখ দটো যেন ঠিকরে বেরচ্ছে; বয়স রিশের বেশী নয়। প্রোফেসার বললেন,—‘এই লোকটার চেহারা তোমরা সবাই এক মনে বেশ করে খানিকক্ষণ দেখ—তার পর, খাতায় এর চেহারার বর্ণনা লেখ—আর, উপস্থিত এর মনের ভাব কি হওয়া সম্ভব—তাও অনমান করে লেখ। —এই বলে তিনি পকেট থেকে এক তাড়া প্রফে বের করে, দেখতে বসে গেলেন। আমরা ছবিখানা দেখে, বর্ণনা লিখতে জুলাগলাম।” “তার পর ?” “ঘণ্টা শেষ হলে, তিনি খাতাগুলো সব নিলেন। দ্বিতীয় ঘণ্টায় এক একখানা খাতা নিয়ে তিনি পড়তে লাগলেন, আর ভুল ত্রুটিগুলি সব বোঝাতে লাগলেন।” “তুমি কি লিখেছিলে ?” “আমি চেহারাটা বর্ণনা করবার পর লিখেছিলাম, প্রথম যৌবনে একটি মেয়ের সঙ্গে এর ভালবাসা হয়েছিল; কিন্তু মেয়ের বাপের ঘোর আপত্তি থাকায় বিয়ে হতে পারেনি। তখন দুজনে পরপরের নিকট এই প্রতিজ্ঞা করে বিদায় নিয়েছিল যে, তারা আজীবন কোঁমাষ্য ব্রত পালন করে, পললোকে মিলনের আশায় থাকবে। মেয়েটি পিতৃগহেই রইল, যুবকটি মনের খেদে বনবাসী হল। দশ বৎসর পরে যুবকের ইচ্ছা হল,—দর থেকে একবার তার প্রিয়তমাকে চাখের দেখা দেখে আসবে। বন ছেড়ে লোকালয়ে এসে দেখলে, তার প্রিয়তমা দিব্যি বিয়ে থাওয়া করে, ছেলে মেয়ের মা হয়ে সংসার ধম’ পালন করছে। তাই, দেখে, যবেকের মনে ভয়ানক দুঃখ ও রাগ হয়েছে।” অবিনাশ বলিল, “এনক আড়েন। অনা ছাত্রীরা সব কি লিখেছিল ?” সষমা বলিল, “সে সব অদভুত। কেউ লিখেছিল এ খন কিবা ডাকাতি করতে যাচ্ছে—কেউ লিখেছিল গাঁজা খেয়ে এ পাগল হয়ে গেছে—এই রকম সব ।” “প্রোফেসর কি বললেন ?" “তিনি আমারটাই খব 'ভাল হয়েছে বললেন। বললেন, যে সকল লোকের সঙ্গে তুমি সংস্রবে আস—তোমার স্বামী, আত্মীয় সবজন, দাসদাসী—সকলের মুখ দেখে তাদের মনের ভাবটা বিশ্লেষণ করতে সব্বদা চেন্টা করবে। মনস্তত্ত্বই হ’ল আসল জিনিষ—সেইটে যিনি যত নিপুণভাবে বিশেলষণ করতে পারবেন,—উপন্যাস রচনায় তিনি তত বেশী সিদ্ধিলাভ কববেন। —বললেন, ‘তোমার ভিতর প্রতিভার সফলিঙ্গ রয়েছে, এক মনে সাধনা কর।”—আমাকে খুব উৎসাহ দিলেন।" এই সংবাদ শ্রবণে অবিনাশের বকেটা আহসাদে দশ হাত হইল। বলিল, “তোমার ভিতর প্রতিভার স্ফলিঙ্গ যে আছে, এটা ত অনেক দিন আগেই তোমার এ অধম ভৃত্য আরিকার করেছিল "