পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নতন বউ ●げ● নিশ্চমলা কাঁদতে কাঁদিতে বলিল, “আমার বাবাকে এখানে আসবার জনো টেলিগ্রাফ क८व्र मिटङ तल ।”-निष्ध“व्ना निष्ठान्न ठिकाना बलिझा भिज । সবে অস্ত গেল, সন্ধ্যা হইল, তথাপি বসন্তের দেখা নাই অথবা তাহার তরফ হইতে কোনও সংবাদও নাই। পিতাও আসিয়া পৌছিলেন না। রাত্রি এগারোটার সময় দয়ারের কড়ায় খট-খট করিয়া আওয়াজ হইল। পিতা আসিযাছেন মনে করিয়া নিন্মলা নিজে ছটিয়া গিয়া বার খালিয়া ছিল। একটি ৭॥৮ বৎসর-বয়স্ক বালকের হাত ধরিয়া তার স্বামী দৗড়াইয়া—তাহার চল উকখসক, মুখ শুকাইয়া আধখানি হইয়া গিয়াছে। সে ভগ্নস্বরে ডাকিল—“নিম্মল!s সেই মহত্তে খোলা দরজার ভেতর দিয়া নিশ্চমলার দটিতে পড়িল, হলদে রঙের বৃহৎ এক মোটরকার বাহির-বারাদার নিম্নে রাস্তার উপর দাঁড়াইয়া রহিয়াছে। নিশমালা একট অসফট ভীতধননি করিয়া দই তিন পদ পিছাইয়া গেল। ভয় নেই নিৰ্ম্মমলা –তোমারই স্বামী আমি, অন্য কেউ নই। এইমাত্র নিমতলার ঘাট থেকে ফিরছি। সেদিন থিয়েটরে বক্সে যে রোগ সত্ৰীলোকটিকে দেখেছিলে, সে সত্যিই তোমার সতীন—উপসতীন নয়—আমার প্রথমা পত্রী—তাকে পড়িয়ে এলাম।– এই ছেলেটিকেও সেদিন তুমি বক্সে দেখেছিলে। এই নাও—আজ থেকে খোকা তোমারই ছেলে হ'ল।" বালক এই কথায় হাউ-হাউ করিয়া কাঁদিতে লাগিল। মহমত্তে নিশমলা সমস্তই বঝিতে পারিল । সে ছটিযা গিয়া খোকাকে কোলে তুলিয়া লইল। স্বামীর হাতখানি ধরিয়া বলিল, “ভিতরে এস।” \ বসন্ত—অথবা হেম ত (ক ণ হেমন্৩ই এই দ,ভাগ্যের আসল নাম) বলিল, “দাড়াও, গাড়াটাব ব্যবস্থা করে আসি । —বলিয়া সে বাহির হইয়া বলিল, “বিনোদ, গাড়ী নিয়ে আবার নিমতলায় যাও । ওঁyে 1 সব বাড়ী পোছে দিয়ে, গাড়ী সেখানেই বেখ। আজ রাত্রে আমি আর খোকা এইখানেই রইলাম—-কাল বেলা ৯টার সময় গাড়ী নিয়ে আসবে।” নিশমালা রান্নাঘরে গিয়া তাড়াতাড়ি লেব, দিয়া চিনিব সরবৎ প্রস্তুত করিয়া, স্বামীকে ও খোকাকে পান করাইয়া বলিল, “হ্যাঁ গা, দটি ভাত চড়িয়ে দিই, ভাতে-ভাত ?” হেমন্ত বলিল, আমি ত কিছুই খেতে পারবো না। খোকাও বোধ হয়, ভাত হতে হতে ঘুমিয়ে পড়বে। দুধ-টধ থাকে ত ওকে একটা দাও।” "আজ সারাদিন বোধ হয় তোমার খাওয়া হয়নি ?” “না হওয়ারই মধ্যে। কদিন থেকেই খোকার মা অসুখে পড়েছিলেন । কাল রাত ১ooার সময় ভবানীপবে বাড়ী গিয়ে দেখলাম, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, জীবনের আশা ডাক্তারেরা ছেড়েই দিয়েছে। সেই তখন থেকে, আজ বেলা তিনটে অবধি যমেমানষে যন্ধে। তিনটের সময় সব শেষ হয়ে গেল। যোগাড়যুক্তর করে বেরতে বেরতে সন্ধ্যে হ'ল। আমি না আসাতে তুমি কত ভাবছো—তা মাঝে মাঝে মনে পড়ছে বটে —কিন্তু কাউকে দিয়ে একটা খবর যে পাঠাব তোমাকে, তা পেরে উঠলাম না। তোমার খাওয়া দাওযা হয়েছে ?” নিন্মলা বলিল, “দপারবেলা সরবৎ খেয়েছি।” o হেমন্ত একটি দীঘনিশ্বাস ফেলিযা বলিল, তা আগেই জানি। আচ্ছা, দাও দলটো ভাত চড়িয়ে—দজেনেই খাব এখন। খাকী কোথা ?” “সে উপরে ঘুমাচ্ছে।” “তুমি উপরে চল।” “ञाश्छा, ठाई छठन ।” বিতলে গিয়া নিৰ্ম্মলা খোকাকে কোলে করিয়া সোফার উপর বসিয়া তাহাকে দুধ