కపిE 4 ٦د গল্প-গ্রন্থাবলী হিরণ, ব্রাহ্মসমাজের এক উচ্চশিক্ষিত যবেককে বিবাহ করিয়া সংসার পাতিয়াছে। মাঝে মাঝে বউয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসে। - কানাইয়ের কীৰ্ত্তি কলিকাতা স্তু্যান্সডাউন রোডের উপর এক ত্রিতল আটালিকা। ফটক পার হইয়া খানিকটা বাগান—তারপর বাড়ীর গাড়ীবারান্দা। সেই গাড়ীবারাদার সিড়ির নিকট এক ছিন্ন মলিন বেশ যবেক, পায়ে জনতা নাই, বয়স আন্দাজ ১৮১৯—নীরবে বসিয়া ছিল। গতকল্য তাহার আহার হয় নাই। আজ এখন বেলা ৮টা—আজি ত হয়ই নাই। এমন সময় সিড়ি দিয়া কেহ নামিবার পৃদশব্দ হইল। যবেক সসম্প্রমে উঠিয়া দাঁড়াইল । যিনি নামিয়া আসিলেন, তিনিই এ গাহের কত্তা—ধতির উপর সিলেকর পাঞ্জাবি পরা, পায়ে চটিজতো। বয়স তাঁহার পঞ্চান্ন বৎসরের কম হইবে না। রঙ বেশ ফসর্ণ । एगाँझ माफ़ि काभारना। ভদ্রলোক নিলেন আসিয়া পেপছিবামাত্র তাঁহার দটি সেই ছিন্নবেশ যুবকের উপর পতিত হইল। যবেক মাথা খুব ঝংকাইয়া যন্তেকরে তাঁহাকে প্রণাম করিল। তাঁহার পশ্চাৎ, বৃহৎ গড়গড়ি হতে এক ভূত্য নামিল। বাবটি কোনও কথা না বলিয়া, তাঁহার বসিবার কক্ষে প্রবেশ করিলেন-ভূত্য গড়গড়িটি সেখানে রাখিয়া বাহির হইয়া আসিল। যবেক নিম্নস্বরে বলিল, “খানসামাজি ! একবার বল না।” ভূত্য মুখ বাঁকাইয়া আবার সেই কক্ষে প্রবেশ করিল। ফিরিয়া আসিয়া, ইঙ্গিতে যবেককে বলিল, “যাও।”—বলিয়া সে উপরে চলিয়া গেল। ছেলেটি তখন সভয় পদবিক্ষেপে ভিতরে গিয়া বাবর সম্মুখে দাঁড়াইল। গড়গড়ি টানিতে টানিতে গহস্বামী তাহার আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিয়া বলিলেন, “কি হে ছোকরা, তুমি কি চাও বল দেখি ?" যবেক বলিল, “আজ্ঞে, একটা চাকরী-বাকরী।” “লেখাপড়া জান ?" “আজ্ঞে, বাংলা জানি। দেশে থাকতে ছেলেবেলায় গরে মশাইয়ের পাঠশালে পড়েছিলাম কিছদিন। নিকতে পড়তেও জানি, হিসেব নিকতেও পারি। বড় গরিব, দিন চলে না, তাই কলকাতায় এসেছি একটা চাকরি-বাকরির চেস্টায়।” “থাক কোথায় ?” “আজ্ঞে কালীঘাটে আমাদের দেশের একজন—” বাব বাধা দিয়া বলিলেন, “বাজার সরকারী-টরকারী এই রকম একটা কোন চাকরী খজছ বোধ হয় ? তা বাপু, বাজার সরকার ত আমাদের থাকে না। বেয়ারার কাজ করতে রাজী হও ত বল। আমার বেয়ারা কাজ ছেড়ে চলে গেছে। কি জাত তুমি, নাম কি তোমার ?” • “আজ্ঞে আমার নাম শ্ৰীকানাইলাল নন্দী। আমরা কায়স্থ। অন্য কোনও কাজ যদি గా జా గా శా కాగా గా గా তব ত দটো খেয়ে পরে יין “এখানে খাবে কি করে ? এখানে ত বাবলুচ্চিতে রাঁধে। আমি ত হিন্দ নই,— ক্লিশচান।”
