পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানাইয়ের কীৰ্ত্তি 曲 శిషిషి “বহুংখ হজের”—বলিয়া কানাই সেলাম করিয়া, পরখানি লইয়া, নিজ পকেটের মধ্যে লুকাইল। খাইতে ছয়টি পাইয়া বাড়ী যাইবার সময় কানাই পদ্মপকূেরের বাগানে প্রবেশ করিল। BBBB BB BB DDBBBDS DDDDD DDD DDD BDS D DDDDDDS D S প্রেমপত্র। কয়েক দিন হইতে প্রণয়ী যুবক জবররোগে আক্রান্ত হইয়া শয্যাশায়ী—তাই বিরহ জবরাক্রান্তা প্রণয়িনী অত্যন্ত উদ্বিগ্না। চিঠি পড়িয়া, হাসিয়া, কানাই মনে মনে বলিল, “ওরে ছড়ি! ডুবে ডাবে জল খাস তুই।" আবার উহা খামে বন্ধ করিল। জলে ভেজা অংশটুকু যাহাতে ভাল করিয়া শুকাইয়া যায়, সেই উদ্দেশ্যে উহাতে রৌদ্র লাগাইতে লাগাইতে টাউনসেন্ড রোডে পৌছিয়া যথাসখানে উহা দিল। সাহেবের বেয়ারা আসিয়া বলিল, “কাল এই সময় এসে জবাব নিয়ে ষেও।”e পরদিন বিপ্রহরে নিজ বাসায় যাইবার পথে, জবাব লইয়া, কানাই পত্ৰখানি বাসায় গিয়া উহা খলিয়া পাঠ করিল। আরও কযেকদিন কানাইকে এইরুপ ভাবে পত্র বহন করিতে হইল। বলা বাহুল্য পর্বের্ণক্ত প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক পত্র খলিয়া সে পড়িল। উভয়ের পত্রগুলি হইতে ইহা সে DBB BBB BBS BB BBBB BB BBBB BBBB BB DDDu BBBBB সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন। কিন্তু পাত্রের পিতা খন্টধৰ্ম্ম গ্রহণ করিবার প্বে ধোপা ছিলেন বলিয়া, ব্যানাডিজ সাহেব আপত্তি করেন। মৌখিক অবশ্য কন্যার অলপ বয়সের জন্য আপত্তি জানাইযাছিলেন। পরস্পরের দেখা সাক্ষাৎ পয্যন্ত নিষেধ করিয়াছিলেন । সযোগ মত পলাইযা, চন্দননগরের গিজায় উভয়ে বিবাহিত হইবার পরামর্শ এখন ইহাদের চলিতেছে। কানাইয়ের বেশ বকশিষ লাভ হইতে লাগিল। প্রণয়ী সাহেব সুপথ হইযা পনরায় কলেজের পথে বীণার সহিত সাক্ষাৎ ও পত্র বিনিময় কবিতে লাগিলেন। ক্ৰমে পজার বন্ধ আসিল। ছয়টির মধ্যে একদিন বীণা গোপনে কানাইয়ের হাতে একখানা ডাকের চিঠি দিয়া বলিল, বাড়ী যাবার সময় এই চিঠিখানি তুমি ডাকে ফেলে দেবে।” কানাই চিঠিখানির ঠিকানা দেখিল, সেই প্রণয়ী সাহেবেরই নাম, তবে ঠিকানা চন্দননগর। খলিয়া উহা সে পাঠ করিল। বীণা লিখিয়াছে, তাহার পিতা বায পরিবত্তানের জন্য শীঘ্রই দেরাদন যাইবেন স্থির করিয়াছেন। তাঁহার অনুপস্থিতির স.যোগে সে পলাইয়া চন্দননগরে যাইবে বিবাহের সমন্সত যেন ঠিকঠাক করিযা রাখা হয় –চিঠি জড়িযা কানাই উহা ডাকবাক্সে ফেলিয়া দিল। চার ব্যানাজি সাহেবের যাত্রার দুইদিন পবে কানাই আবার ডাকে ফেলিবার জন্য মিস বাবার ঐরাপ আর একখানি পত্র পাইল। পড়িয়া দেখিল, বীণা পলায়নের দিন স্থির করিয়া লিখিয়াছে—পিতার যাত্রাব তিন দিন পরে, বেলা একটা চল্লিশের গাড়ীতে সে হাওড়া হইতে রওয়ানা হইবে। সাহেব যেন চন্দননগর স্টেশনে উপস্থিত্ব থাকেন। এই পত্র পডিয়া কানাই অত্যন্ত চটিয়া গেল। বড়া বাপের অমতে, তাঁর মনে দুঃখ দিয়া, ধোপার ছেলেকে বিবাহ না করিলেই কি নয় ? মনে মনে বলিল, “দাঁড়াও তোমায় জব্দ করছি আমি।” স্থির করিল, ইহা ডাকে দেওয়া হইবে না, ইহা সাহেবকে দেখানোই উচিত। পত্রখানি সে রাখিয়া দিল। অন্যদিন রাত্রি ৯টায় সকলের ডিনার শেষ হইলে, কানাই ছয়টি পায়। দশটা না