পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ミ* গল্প-গ্রন্থাবলী স্তরের সহিত প্রেম করিয়াছিল তাহারই বর্ণনা। কিছুদিন পরে পল্লীর সতীত্ব সবন্ধে স্বামীর মনে সন্দেহ উপস্থিত হয়, তখন সেই সেকেলে সঙ্কীর্ণমনা নরপশটা মাঝে মাঝে অসময়ে অতকিতে গহে আসিয়া দেখিত সন্ত্রী কি করিতেছে! এই ভাবে লাঞ্ছিতা অপমানিতা তরণী অবশেষে স্বামীর নামে সমাজতত্ত্বঘটিত খুব উচ্চ দরের চিন্তাপণে একটা পত্র লিখিয়া রাখিয়া, গহত্যাগ করিয়া তাহার প্রণয়ীর গহে গিয়া আশ্রয় লইল এবং তথায় নিজ "নারীত্ব সফল” করিতে লাগিল। গল্পটা পড়িয়া ঘণায় মণিকার ওঠ কুঞ্চিত হইয়া উঠিল। সে মনে মনে বলিল, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমাদের প্রেমে অমন स्र्याख्ठशा• ढनादशनि ।" গল্পের শেষাংশ পাঠ করিতে করিতে মণিকার চক্ষ ঘমে জড়াইয়া আসিতেছিল। গল্প শেষ করিয়া, মাসিকপত্রখানি পাশ্বব্যপথ টেবিলে রাখিয়া মণিকা সেই সোফাতেই একটা গড়াইবার আয়োজন করিতেছে,—এমন সময় বাংলোর হাতায় একটা গাড়ী প্রবেশ করিবার শব্দ শনিতে পাইল। কে আসিল ঐ ইনপেক্টারবাবর সত্ৰী ? যদবাব উকিলের স্ত্রীও হইতে পারেন। কিন্তু সিড়িতে পদশব্দ উঠিল—তার স্বামীর। মণিকা দেওয়ালঘড়ির পানে চাহিয়া দেখিল, বেলা সবে তখন দেড়টা। পাঁচটার পর্বে স্বামী ত কোনও দিন ফেরেন না, তবে আজ এমন অসময়ে কেন ? সে মনে মনে হাসিয়া বলিল, “ওগো, আমার নারীত্ব বিফল হয়নি। তোমার গোয়েন্দাগিরির কোনও দরকার নেই!” পদশব্দ হঠাৎ অত্যন্ত মদ্ভাব ধারণ করিল। মণিকা বেশ বঝিতে পারিল আগন্তুক সাবধানে পা টিপিয়া টিপিয়া আসিতেছেন। সত্যই তবে এটা গোয়েন্দাগিরি নাকি : অবশেষে সরেনবাব ভেজানো দয়ারটি আস্তে আস্তে ফকি করিলেন। তারপর ভিতরে আসিয়া বলিলেন, “কি গো, তুমি এখনও ঘমোওনি ? পাছে তোমার ঘুম ভেঙ্গে যায় সেই ভয়ে আমি পা টিপে টিপে আসছি।”—বলিয়া তিনি হাসিতে লাগিলেন। মণিকা সপ্রেম দটিতে স্বামীর পানে চাহিল। বলিল, “আজ হঠাৎ এমন অসময়ে যে ?” “হঠাৎ সাহেবের হুকুম হল, একটা সরেজমিন তদন্তের জন্যে বাইরে যেতে হবে । ৩টের গাড়ীতেই রওয়ানা হতে হবে।” “কোথায় ?” "তিলতা জংসন থেকে নেমে ১২ মাইল। তুমি যাবে ; চল না বেড়িয়ে আসবে। সেখানে ছোটখাট রকমের একটা ডাকবাংলা আছে।” মণিকা হাসিতে হাসিতে বলিল, “কেন, আমাকে বাড়ীতে একা রেখে যেতে তোমার অবিশ্ববাস হয় নাকি ?” “অবিশ্বাস ? তোমাকে ? তোমার প্রতি যেদিন অবিশ্বাস হবে সেদিন যেন আমার মৃত্যু হয়।”—বলিতে বলিতে তিনি স্ত্রীর পাশে সোফায় বসিলেন। মণিকা রাগিয়া স্বামীর গালে একটা ঠোনা মারিয়া বলিল, “আহা ! কথার ছিরি দেখ না পরষের! খাব রসিকতা হল, না ?” “রসিকতা আমি করলাম ? না তুমি করলে ?” “আমিও করিনি। দেখ, ঐ হতভাগা মাসিকপত্রের একটা হতভাগা গল্প আমার মাথার ভিতরে ঘরেছিল। আমি ষেতাম গো, তোমার সঙ্গে গিয়ে এই বাহের দেশের পাড়া-গাঁ দেখে আসতাম। কিন্তু শরীরটে কেমন ভাল ঠেকছে না।” “কি छाीन !" “তাই ত! ভারি মস্কিল করলে যে ! স্নানটা আজ বাদ দিলেই হত ! কিন্তু আমার ত না গেলেই নয় ।”